লাল-সবুজের জার্সিতে ১২ বছর ধরে খেলছেন জামাল ভূঁইয়া। ২০১৩ সালে ডেনমার্ক থেকে বাংলাদেশে এসে জাতীয় দলে যোগ দেন জামাল। এরপর নানা উত্থান পতনের পর বাংলাদেশের ফুটবল এখন জনপ্রিয়তার তুঙ্গে।
তবে বেশকিছুদিন ধরে বাংলাদেশের শুরুর একাদশে দেখা মেলে না এই অধিনায়কের। কোন বৈশ্বিক টুর্নামেন্ট কিংবা প্রীতি ম্যাচ কোথাও শুরুর একাদশে দেখা যায় না জামালকে। জামালকে নিয়ে যেন দ্বিধা রয়ে গেছে কোচ হ্যাভিয়ের ক্যাবরেরার।
দেশের ফুটবলে আলোড়ন তুলে জাতীয় দলের যোগ দেন ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে খেলা হামজা চৌধুরী। কিছুদিনের মধ্যেই হামজার সাথে বেশ ভালো সম্পর্ক তৈরি হয়েছে জামালের। জামালকে শুরুর একাদশী না দেখে অবাক হামজাও। তাই নিজেই জামালকে বলেছিলেন, কেন সে (জামাল) একাদশে থাকে না। তবে এর কোন উত্তর দিতে পারেননি জামাল।
শোনা যায় হামজা নাকি বেশ কয়েকবার কোচকেও বলেছিলেন জামাল কে একাদশে রাখতে। তাতেও কাজ হয়নি, নেপালের বিপক্ষে শুরুর একাদশে জায়গা পাননি এই অভিজ্ঞ মিডফিল্ডার।
গতকাল (সোমবার) সংবাদ সম্মেলনে জামাল বলেন, ‘আমার সঙ্গে হামজার বোঝাপড়া বেশ ভালো। সেও আমার মতো বিদেশ থেকে এসেছে। হামজার কোনো সমস্যা হলেই আমাকে মেসেজ দেয়, আমাদের কথা হয়। ফুটবল সম্পর্কে কোনোকিছু জানার থাকলে আমি হামজা কে জিজ্ঞেস করি। এতকিছুর পরও কোচ কেন জামালকে একাদশে জায়গা দিচ্ছে না, এমন প্রশ্নের জবাবে জামালের উত্তর, ‘আমি জানি না, সেটা কোচকে জোর দিয়ে জিজ্ঞেস করেন।’
নিয়মিত জায়গা না পেলেও, সুযোগ পেলেই নিজের দ্বায়িত্ব শতভাগ পালন করতে ভুল করেননা জামাল। ভুটানের বিপক্ষে প্রীতি ম্যাচে জামালের নেওয়া কর্নার থেকে গোল করেন হামজা। নেপালের বিপক্ষে হামজার সেই দুর্দান্ত বাইসাইকেল কিকের গোলেও রয়েছে তার অবদান। ইন্দোনেশিয়ায় অনুষ্ঠিত এশিয়ান গেমসে জামালের গোলেই দ্বিতীয় পর্বে উঠেছিল বাংলাদেশ। তার অ্যাসিস্টেই ভারতের বিপক্ষে গোল করে বাংলাদেশকে জয়ের স্বপ্ন দেখিয়েছিল সাদ উদ্দিন, যদিও শেষ মুহুর্তের গোলে ১-১ সমতায় শেষ হয় ম্যাচ।
জামাল সবসময় প্রতিপক্ষের চিন্তার কারণ। তবুও জামাল ঠিক কি কারণে জায়গা পাচ্ছেন না একাদশে সে উত্তর সকলের অজানা।
ক্রিফোস্পোর্টস/১৮নভেম্বর২৫/এআই