নেইমার জুনিয়র, ইনজুরি যার নিত্যদিনের সঙ্গী। ব্রাজিল জাতীয় দলের হয়ে নেইমার সর্বশেষ ম্যাচ খেলেছেন ২০২৩ সালের অক্টোবরে। এরপর আর জাতীয় দলে ফেলা হয়নি আন্তর্জাতিক ফুটবলে ব্রাজিলের এই সর্বোচ্চ গোলদাতার।
জাতীয় দলে ফেরার একমাত্র মাধ্যম ক্লাব ফুটবলেও খুব একটা ভালো ফর্মে নেই নেইমার। বারবার ইনজুরির হানা প্রভাব ফেলছে তার পারফম্যান্সে। সান্তোসের হয়ে ৯০ মিনিট খেলতে খুব একটা দেখা যায় না নেইমারকে।
দরজায় কড়া নাড়ছে ২০২৬ ফিফা বিশ্বকাপ। ইতোমধ্যে বিশ্বকাপে সরাসরি খেলার যোগ্যতা অর্জন করেছে ব্রাজিল। ধীরে ধীরে দল গোছাতে শুরু করেছেন কোচ আনচেলত্তি। আগামী ১৯ নভেম্বর তিউনিসিয়ার বিপক্ষে প্রীতি ম্যাচ খেলার পর ব্রাজিল ২০২৬ বিশ্বকাপের আগে তাদের পরবর্তী ম্যাচ খেলবে আগামী মার্চে। তখনই মোটামুটি চূড়ান্ত হয়ে যাবে বিশ্বকাপের দল।
জাতীয় দলে ফিরে থিতু হতে নেইমারের হাতে আসলে সময় নেই, ফিরলেও ঠিক কোন পজিশনে খেলবেন নেইমার? আনচেলত্তি এর আগে বলেছেন, ‘আমার মনে হয়, এখন ওর (নেইমার) খেলা উচিত ডান-বাঁ প্রান্তে নয়, বরং কেন্দ্রে। কারণ, আধুনিক ফুটবলে উইঙ্গারদের শুধু আক্রমণ নয়, রক্ষণেও সাহায্য করতে হয়। মাঝখানে খেললে সেই চাপটা অনেক কমে যায়।’
কিন্তু ৩০ পেরিয়ে যাওয়ার নেইমার কি একই সঙ্গে ইনজুরি ও বিপক্ষ দলের সাথে লড়তে পারবেন?
পজিশন বদলে নেইমারকে খেলতে হলে সবার আগে ওই পজিশনে তাঁকে খাপ খাওয়াতে হবে। এখন পর্যন্ত নতুন পজিশনে খাপ খাওয়ানো দূরে থাক, নিয়মিত মাঠেই নামতে পারছেন না নেইমার। আক্রমণভাগের বিভিন্ন পজিশনে এস্তেভাও- ভিনিসিয়ুস- রদ্রিগো- রাফিনিয়াদের সময় নিয়ে তৈরি করেছেন আনচেলত্তি। এর মধ্যে নেইমারকে নতুন পজিশনে আদৌ খেলাবেন কিনা সেটাও একটা প্রশ্ন।
এক সময় ব্রাজিলে জনপ্রিয়তার তুঙ্গে থাকা নেইমার এখন নিজ দেশের সমর্থকদের সমালোচনার মুখে। তার দেশেরই অনেক ফুটবল ভক্ত ব্রাজিলের হয়ে তাকে ২০২৬ বিশ্বকাপে দেখতে চান না। তবে বিপরীত চিত্র ব্রাজিল জাতীয় দলে, জাতীয় দলের বেশিভাগ খেলোয়াড়ের ভরসার জায়গাই যে নেইমার। তবে, কোচ আনচেলত্তি আবেগকে প্রাধান্য দিয়ে নেইমারকে বিশ্বকাপ স্কোয়াডে রাখবেন নাকি পারফরম্যান্স কে গুরুত্ব দিবেন সেটিই এখন দেখার বিষয়।
ক্রিফোস্পোর্টস/১৭নভেম্বর২৫/এআই