ইসলামাবাদের আত্মঘাতী বোমা হামলার পর একসময় সিরিজ ছাড়ার কথাও ভেবেছিলেন শ্রীলঙ্কার বেশ কয়েকজন ক্রিকেটার। পাকিস্তান প্রশাসনের আশ্বাস এবং লঙ্কান বোর্ডের কঠোর পদক্ষেপে শেষ পর্যন্ত তারা পাকিস্তানে থেকে সিরিজ খেললেন। সেই আস্থার প্রতিদান অবশ্য দিলেন পাকিস্তানই–শ্রীলঙ্কাকে ধবলধোলাই করে।
রাওয়ালপিন্ডিতে তৃতীয় ওয়ানডেতে শ্রীলঙ্কাকে ৬ উইকেটে হারিয়ে সিরিজ ৩–০ তে নিজেদের করে নিল শাহিন আফ্রিদির দল। এদিন টসে হেরে ব্যাটিংয় করতে নেমে ৪৫.২ ওভারে ২১১ রানে থামে লঙ্কানরা। রান তাড়ায় পাকিস্তান জয়ের পথটা সহজ হয়ে যায় দুটি বড় জুটিতে ভর করে, আর ম্যাচ শেষ করে ৩২ বল হাতে রেখে।
ম্যাচের চতুর্থ ওভারে হাসিবুল্লাহ দ্রুত ফিরলেও বাবর আজম ও ফখর জামান দ্বিতীয় উইকেটে ৭৪ রান তোলেন। ৫২ বলে ৩৪ করে বাবর থামেন, বাবর ফিফটি না পেলেও ফখর খেলেন ৫৫ রানের ইনিংস। এরপর পার্টনারশিপ গড়েন মোহাম্মদ রিজওয়ান। চারে নেমে এক প্রান্ত আগলে রেখে ৯২ বলে ৬১ রানে অপরাজিত ছিলেন তিনি। হুসেইন তালাতকে সঙ্গে নিয়ে পঞ্চম উইকেটে ১০০ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটি গড়ে দলের জয় নিশ্চিত করেন দুজন।
এর আগে শ্রীলঙ্কার ইনিংস থেকেও কোনো বড় স্কোর আসেনি। সাদিরা সামারাবিক্রমা ৪৮ রান করলেও সঙ্গ দিতে পারেননি কেউই। তিনজন বিশোর্ধ্ব ইনিংস খেললেও সেটাকে বড় করতে পারেননি। পাকিস্তানের পেসার মোহাম্মদ ওয়াসিম ৪৭ রানে ৩ উইকেট তুলে নেন; হারিস রউফ ও ফয়সাল নেন দুটি করে উইকেট।
এদিকে ১৮ নভেম্বর থেকে শুরু হতে যাওয়া ত্রিদেশীয় সিরিজের আগে এভাবে হোয়াইটওয়াশ হওয়া নিঃসন্দেহে শ্রীলঙ্কার জন্য বড় ধাক্কা। অন্যদিকে জিম্বাবুয়ে ও শ্রীলঙ্কাকে নিয়ে সেই সিরিজে নামার আগে সহজ জয়ে আত্মবিশ্বাস আরও বাড়াল পাকিস্তান।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
শ্রীলঙ্কা: ৪৫.২ ওভারে ২১১ (সামারাবিক্রমা ৪৮, মেন্ডিস ৩৪, রত্নায়েকে ৩২; ওয়াসিম ৩/৪৭, হারিস ২/৩৮, ফয়সাল ২/৪২)।
পাকিস্তান: ৪৪.৪ ওভারে ২১৫/৪ (ফখর ৫৫, রিজওয়ান ৬১*, তালাত ৪২*; ভ্যান্ডারসে ৩/৪২)।
ফল: পাকিস্তান ৬ উইকেটে এবং তিন ম্যাচের সিরিজ ৩-০ তে জয়ী পাকিস্তান।
ম্যাচসেরা: মোহাম্মদ ওয়াসিম (পাকিস্তান)
সিরিজসেরা: হারিস রউফ (পাকিস্তান)
ক্রিফোস্পোর্টস/১৭নভেম্বর২৫/টিএ