হলান্ডের জোড়া গোল। ইতালিকে কাঁদিয়ে ২৮ বছর পর বিশ্বকাপ ফিরল নরওয়ে। পুরো ম্যাচটাই যেন নাটকের মত পূর্বনির্ধারিত ছিল। নরওয়ের দরকার ছিল বড় জয়। আর ইতালির প্রয়োজন ছিল প্রায় অবাস্তব কিছু। অবশেষে মিলানের সেই লড়াইয়ে সফল হয় নরওয়ে।
রোববার সান সিরোতে বাছাইপর্বের শেষ রাউন্ডে নরওয়ে জিতল ৪–১ ব্যবধানে। সব গোলই এসেছে বিরতির পর। নুসারের সমতায় ফেরানো দারুণ গোল, লারসেনের যোগ করা অতিরিক্ত সময়ে চতুর্থ গোল, আর মাঝখানের পুরো ম্যাচের মোড়ই ঘুরিয়ে দিলেন আর্লিং হলান্ড। মিনিটেই করলেন জোড়া গোল। বাছাইপর্বে আট ম্যাচে তাঁর মোট গোল এখন ১৬। লেভানদোভস্কির রেকর্ডের পাশে এখন তাঁর নামও যোগ হচ্ছে।
এদিকে ইতালির শুরুটা ছিল আশাজাগানিয়া। মাত্র ১১ মিনিটে এসপোসিতোর গোলে এগিয়েও গিয়েছিল তারা। নরওয়ের ডিফেন্ডারের ভুলে দিমার্কোর পাস থেকে নিখুঁতভাবে ফিনিশিংয়ে গোল করেন তিনি। কিন্তু সেই ধারাবাহিকতা আর ধরে রাখতে পারলেন না। প্রথমার্ধে দুই দলই সুযোগ খুব একটা তৈরি করতে পারেনি। বিরতির পর যেন দুই আলাদা দল নামল মাঠে নরওয়ে গতি বাড়িয়ে আক্রমণাত্মক হয়ে উঠলো, আর ইতালি হয়ে উঠলো রক্ষণাত্মক।
এই জয়ের মধ্য দিয়ে গ্রুপ ‘আই’-এ ২৪ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষ স্থান দখল করেছে নরওয়ে। ১৯৯৮ সালের পর আবার ২৮ বছর পর আবার তারা বিশ্বকাপে। অন্যদিকে ইতালির হতাশার। ১৮ পয়েন্ট নিয়ে দুইয়ে থেকে প্লে-অফে যেতে হচ্ছে তাদের। টানা তৃতীয়বারের মতো মূল আসরের বাইরে থাকার শঙ্কা রয়েছে। আগের দুইবারই সরাসরি বিশ্বকাপে খেলার সুযোগ পায়নি তারা। প্লে-অফ থেকেই বিদায় নিতে হয়েছিল চারবার বিশ্বকাপজয়ী এই তারকাদের।
নরওয়েকে টপকে সরাসরি বিশ্বকাপে যেতে শেষ রাউন্ডে ৯ গোলের জয় দরকার ছিল আজ্জুরিদের। শুরুতে গোল পেয়ে সমীকরণ একটু নড়লেও প্রথমার্ধের পর সেই সম্ভাবনাও কল্পনায় রুপ নেয়।
অবশেষে মিলানে রাতটা রইল হলান্ডদের। ইতালি দাঁড়িয়ে রইল অনিশ্চয়তার মোড়ে। আর নরওয়ে সর্বশেষ বিশ্বকাপে খেলেছিল ১৯৯৮ সালে। প্রায় ২৮ বছর পর আবার বিশ্বমঞ্চে ফেরার টিকিট পেল নুসার, লারসেন ও হলান্ডের কল্যাণে।
ক্রিফোস্পোর্টস/১৭নভেম্বর২৫/টিএ