রাওয়ালপিন্ডিতে পাকিস্তান যতটা সহজে জয় পেয়েছে, তার চেয়েও বড় স্বস্তির খবর এসেছে বাবর আজমের ব্যাট থেকে। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে প্রায় ২৬ মাসের বেশি সময় ধরে সেঞ্চুরিহীন থাকা বাবর অবশেষে সেই অপেক্ষা ভাঙলেন। তার সেঞ্চুরির দিনে শ্রীলঙ্কাকে ৮ উইকেটে হারিয়ে এক ম্যাচ বাকি থাকতেই সিরিজ নিশ্চিত করল পাকিস্তান।
২৮৯ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শুরু থেকেই ছন্দে ছিল পাকিস্তান। ফখর জামান আর সাইম আইয়ুবের ব্যাটে প্রথম উইকেটে আসে ৭৭ রান। ২৫ বলে ৩৩ রান করে সাইম ফিরলেও ফখর দুর্দান্ত খেলতে থাকেন। বাবরের সঙ্গে অসাধারণ জুটিতে দলকে সামনে এগিয়ে নিয়ে যান তিনি। ৯৩ বলে ৭৮ রানের ইনিংস খেলে চামিরার বলে ক্যাচ তুলে আউট হন ফখর। তবে তার আগে বাবরের সঙ্গে শতরানের জুটি গড়ে দলের জয়ের পথ অনেকটাই সহজ করে গেছেন।
ফখর আউট হলেও একপাশে আগলে রাখেন বাবর। রিজওয়ানকে সাথে নিয়ে গড়েন শতরানের জুটি। তিন ফরম্যাট মিলিয়ে ৮৩ ইনিংসের সেঞ্চুরির যে অপেক্ষা, তার অবসান ঘটালেন তিনি। ১১৯ বলে ৮ চারে সাজানো ১০২ রানে অপরাজিত থাকেন পাকিস্তান এই সাবেক অধিনায়ক। পাশে ছিলেন মোহাম্মদ রিজওয়ান, ৫৪ বলে ৫১ রানে তিনিও অপরাজিত। দুজনের জুটিতে আসে ১১২ রান, আর ১০ বল হাতে রেখেই শেষ হয় ম্যাচ। বাবরের সেঞ্চুরিতে পাকিস্তানের হয়ে সর্বোচ্চ ওয়ানডে সেঞ্চুরি করা সাইদ আনোয়ারের রেকর্ডেক ভাগ বসান তিনি।
এর আগে টস জিতে ব্যাট করে শ্রীলঙ্কা তোলে ২৮৮ রান। জানিথ লিয়ানাগে ৫৪, কামিন্দু মেন্ডিস ৪৪ আর সাদিরা সামারাবিক্রমা ৪২ রান করেন। পাকিস্তানের পক্ষে তিনটি করে উইকেট নেন হারিস রউফ ও আব্রার আহমেদ।
তবে এদিন সবচেয়ে বড় আলোচনাই ছিল ম্যাচটা আদৌ হবে কি না। কেননা ইসলামাবাদের আত্মঘাতী হামলার ঘটনায় শ্রীলঙ্কা টিমে গভীর উদ্বেগ তৈরি হয়েছিল। কয়েকজন খেলোয়াড় ফিরে যেতে চাইলে পাকিস্তান সেনাপ্রধান আসিম মুনির সরাসরি আলোচনায় নামেন এবং সবধরনের নিরাপত্তা দেওয়ার আশ্বাস দেন। তাঁর আশ্বাসে সিরিজ চলমান থাকে এবং একদিন পিছিয়ে দ্বিতীয় ওয়ানডেটি মাঠে গড়ায়। যার ফলস্বরূপ এক ম্যাচ হাতে রেখেই সিরিজ জিতে নেয় স্বাগতিকরা। সিরিজের শেষ ম্যাচে দুই দল মুখোমুখি হবে ১৬ নভেম্বর।
ক্রিফোস্পোর্টস/১৫নভেম্বর২৫/টিএ