আজ প্যারিসে রাতটা ফরাসিদের জন্যই ছিল। বিশ্বকাপের টিকিট নিশ্চিতের পাশাপাশি পুরো ম্যাচজুড়ে আক্রমণ, গতি, নিয়ন্ত্রণ সবই ছিল একপাক্ষিক। দিদিয়ে দেশমের দল প্রথমার্ধে কোনো গোল করতে না পারলেও দ্বিতীয়ার্ধে টানা চার গোল করে ইউক্রেইনকে হারিয়েছে ৪–০ ব্যবধানে এবং এক ম্যাচ বাকি থাকতেই নিশ্চিত করেছে ২০২৬ বিশ্বকাপের টিকিট।
প্রথমার্ধে ইউক্রেইন গোলরক্ষক ত্রুবিন কয়েকটি দারুণ সেভ করে ম্যাচে রাখার চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু বিরতির পর আর সেটাও পারলেন না। প্রতিপক্ষের একের পর এক আক্রমণে কোনোভাবেই প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারেনি ইউক্রেইন। প্রথমেই দারুণ শটে দলকে লিড এনে দেন কিলিয়ান এমবাপ্পে। এরপর মাইকেল ওলিসে গোল ব্যবধান বাড়ান, তারপর আবার এমবাপ্পে এবং বদলি হিসেবে খেলতে নামা উগো একিটিকে গোল করে ম্যাচের ফলাফল নির্ধারণ করে ফেলেন।
এদিকে ফ্রান্সের জন্য ম্যাচটা ছিল সরাসরি আধিপত্যের লড়াই। ৭০ শতাংশ পজেশন, গোলের উদ্দেশ্যে ২৫ টি শট করে ফ্রান্স।অন্যদিকে ইউক্রেইন পুরো ম্যাচে গোলপোস্ট লক্ষ্য করে কোনো শটই নিতে পারেনি। যদিও দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে পেনাল্টির আবেদন করেছিল। কিন্তু ভিএআরে আবেদন নাকচ হওয়ায় সেই সুযোগও নষ্ট হয়।
জোড়া গোলের ফলে রেকর্ড বুকেও দ্রুত এগিয়ে যাচ্ছে এমবাপ্পে। ফ্রান্সের হয়ে ৯৪ ম্যাচে তার গোল এখন ৫৫। সর্বোচ্চ গোলদাতা অলিভিয়ে জিরুর রেকর্ড ছুঁতে বাকি মাত্র দুই গোল। আর মাত্র দুই গোল করতে পারলেই ফ্রান্সের হয়ে নতুন করে রেকর্ড বুকে নাম লেখাবেন তিনি।
‘ডি’ গ্রুপে পাঁচ ম্যাচে চার জয় ও এক ড্রয়ে ফ্রান্সের পয়েন্ট এখন ১৩। অন্যদিকে আইসল্যান্ড ও ইউক্রেইন পয়েন্ট টেবিলে অনেক পিছিয়ে রয়েছে, তাই গ্রুপসেরা হিসেবে ফ্রান্সের বিশ্বকাপ নিশ্চিত হলো এক ম্যাচ হাতে রেখেই।
ইউরোপীয় বাছাইয়ের নিয়ম অনুযায়ী প্রতিটি গ্রুপ থেকে পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষ দল সরাসরি খেলবে বিশ্বকাপে, রানার্সআপ দলের যেতে হবে প্লে-অফে। সেক্ষেত্রে ফ্রান্সের আর কোনো সমীকরণ নেই।
ক্রিফোস্পোর্টস/১৪নভেম্বর২৫/টিএ