ডাবলিনে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে বিশ্বকাপ বাছাই পর্বের ম্যাচ রোনালদোর জন্য শেষ হলো ক্যারিয়ারের প্রথম আন্তর্জাতিক লাল কার্ড দিয়ে। আর এই লাল কার্ড পাওয়ায় ২০২৬ বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচে রোনালদোর খেলা নিয়ে তৈরি হয়েছে বড় অনিশ্চয়তা।
মূলত ঘটনার শুরু ম্যাচের প্রথমার্ধে। ডারা ও’শিয়ার সঙ্গে ধাক্কাধাক্কির সময় কনুই ব্যবহার করেন রোনালদো। মাঠের রেফারি প্রথমে হলুদ কার্ড দেখালেও ভিএআরের মাধ্যমে রেফারি সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করতে বাধ্য হয়। ফলে পর্তুগিজ ফরোয়ার্ড বাদ পড়েন ম্যাচ থেকে এবং বাছাইয়ের শেষ ম্যাচে আর্মেনিয়ার বিপক্ষেও নিশ্চিতভাবেই খেলতে পারবেন না তিনি।
তবে দুশ্চিন্তার কারণ হলো, আন্তর্জাতিক ফুটবলে সহিংস আচরণের শাস্তি এক ম্যাচে থেমে থাকে না অনেক সময়ই। শৃঙ্খলা কমিটি চাইলে নিষেধাজ্ঞা দুই ম্যাচ পর্যন্ত বাড়াতে পারে। যদি এমনটি হয়, আর যদি পর্তুগাল আগেই বিশ্বকাপ নিশ্চিত করে ফেলে, তাহলে টুর্নামেন্টের প্রথম ম্যাচ মিস করার ঝুঁকিতে থাকবেন ৪০ বছর বয়সী এই ফুটবল তারকা।
অথচ ম্যাচের কয়েক ঘণ্টা আগেই সাংবাদিকদের রোনালদো বলেছিলেন তিনি ডাবলিনে এবার “ভাল ছেলে” থাকার চেষ্টা করবেন। কিন্তু মাঠে আচরণ ছিল তার ঠিক উল্টো। লাল কার্ড দেখার পর দর্শকদের ব্যঙ্গ করে থাম্বস আপ দেখান, রেফারির দিকে তালি দেন, এমনকি ও’শিয়াকে ‘কাঁদার ভান’ করেও খোঁচা দেন। মাঠ ছাড়ার সময় আয়ারল্যান্ড কোচ হালগ্রিমসনের সঙ্গেও কথা কাটাকাটি হয় তার।
আয়ারল্যান্ডের সঙ্গে রোনালদোর সম্পর্ক আগে থেকেই টানাপোড়েনের। ২০২১ সালের ড্র ম্যাচে তাকে বু করা হয়েছিল, চলতি বাছাইয়ে তার পেনাল্টি সেভ করেছিলেন কেলেহার। সাম্প্রতিক ম্যাচে রুবেন নেভেসের গোল উদযাপন নিয়েও আয়ারল্যান্ড স্কোয়াড ক্ষোভ প্রকাশ করেছিল।
সবকিছু মিলিয়ে, নিজের শেষ বিশ্বকাপ বলে ঘোষণা দেওয়া টুর্নামেন্টের আগে এমন লাল কার্ড রোনালদো এবং পর্তুগাল দুই পক্ষেরই দুশ্চিন্তা বাড়িয়েছে। তবে এখন সবকিছু নির্ভর করছে শৃঙ্খলা কমিটির ওপর। শাস্তি এক ম্যাচেই সীমাবদ্ধ থাকে কি না, সেটাই ঠিক করে দেবে রোনালদোর বিশ্বকাপ শুরুর ভাগ্য।
উল্লেখ্য, ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোর ক্যারিয়ারে এখন পর্যন্ত মোট ১২টি লাল কার্ড আছে। এর মধ্যে, গতকাল আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে ম্যাচে আন্তর্জাতিক ফুটবলে তিনি প্রথম লাল কার্ড দেখেন। এর আগে, তার ক্যারিয়ারে লাল কার্ডের সংখ্যা ছিল ১১টি, যার মধ্যে ৭টি সরাসরি লাল কার্ড।
ক্রিফোস্পোর্টস/১৪নভেম্বর২৫/টিএ