শেষ মুহূর্তে গোল হজম করে জয় হাতছাড়া করা যেন এখন বাংলাদেশের নিয়মিত গল্প হয়ে দাঁড়িয়েছে। তবে গতকাল নেপালের বিপক্ষে জয়ের স্বাদ পেতেই পারত লাল-সবুজের প্রতিনিধিরা। কিন্তু ম্যাচের যোগ করা সময়ে গোল হজম করে ম্যাচ ড্র করে বাংলাদেশ। এতে বৃথা গেছে হামজা চৌধুরীর জোড়া গোল।
গতকাল বৃহস্পতিবার নেপালের বিপক্ষে ২-২ গোলের ম্যাচে বাংলাদেশের হয়ে জোড়া গোল করেন হামজা। প্রথমার্ধে ১-০ গোলে পিছিয়ে থাকার ম্যাচে বিরতি থেকে ফিরেই দলকে এগিয়ে নিয়েছিলেন এই তারকা ফুটবলার। তবে এদিন খেলার শেষ পর্যন্ত মাঠে থাকা হয়নি তার। ম্যাচের ৮০তম মিনিটে তাকে উঠিয়ে নেন কোচ হাভিয়ের কাবরেরা।
এই ম্যাচে পুরোটা সময় দাপট দেখিয়ে গেছেন হামজা। রক্ষণভাগ থেকে শুরু করে আক্রমণ ভাগ, সবখানেই তিনি দলের গুরুত্বপূর্ণ সদস্য হিসেবে ছুটে বেড়িয়েছেন। তবে তাকে উঠিয়ে নেওয়ায় খেলা সহজ হয়েছে নেপালের জন্য। এমনটাই বললেন দলটির কোচ হড়ি খাড়কা, ‘হামজা ম্যাচের শেষ পর্যন্ত আক্রমণভাগে থাকলে আমাদের জন্য কষ্ট হতো। সে না থাকায় আমাদের সুবিধা হয়েছে।’
ম্যাচের দ্বিতীয়ার্ধে বিরতি থেকে ফিরে জোড়া গোল করেন হামজা। প্রথমটি ছিল দুর্দান্ত এক বাইসাইকেল কিকের গোল। তবে দ্বিতীয়টি আসে পেনাল্টি থেকে। তবে সেই পেনাল্টি হজম নিয়ে আপত্তি জানিয়েছেন নেপালের এই কোচ, ‘প্রথম গোলটি অত্যন্ত অসাধারণ হয়েছে। তবে দ্বিতীয় গোলের পেনাল্টি নিয়ে আমার প্রশ্ন রয়েছে। এটা আমার দৃষ্টিতে পেনাল্টি হয়নি।’
নিজেদের হোম ম্যাচ হওয়ায় দুই সপ্তাহের বেশি এই কন্ডিশনে অনুশীলন করার সুযোগ পেয়েছে বাংলাদেশ। তারপরেও স্বাগতিকদের জয় বঞ্চিত করতে পারায় নিজের সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন হড়ি খাড়কা, ‘দ্বিতীয়ার্ধে আমরা পরিকল্পনা অনুযায়ী খেলেছি। এই ড্র আমাদের এশিয়ান কাপ বাছাইয়ের ম্যাচের জন্য কাজে দেবে।’
এশিয়ান কাপ বাছাই পর্বে নিজেদের শেষ হোম ম্যাচে আগামী ১৮ নভেম্বর ভারতের বিপক্ষে মাঠে নামবে বাংলাদেশ। তার আগে নিজেদের সর্বোচ্চ প্রস্তুতি নিতে নেপালের বিপক্ষে এই প্রীতি ম্যাচের আয়োজন করেছিল বাফুফে। তবে এই ম্যাচ থেকে নিজেদের রক্ষণভাগে কিছুটা দুর্বলতা টের পেয়েছে বাংলাদেশ। যা পরবর্তীতে স্বীকার করেছেন কাবরেরা নিজেও।
ক্রিফোস্পোর্টস/১৪নভেম্বর২৫/এফএএস