বাংলাদেশ ফুটবলে যেন নতুন দিনের হাওয়া লেগেছে হামজা চৌধুরীর আগমনের পর থেকে। প্রাণ ফিরেছে দেশের অন্যতম জনপ্রিয় এই খেলায়। প্রত্যাশা বাড়ছে দর্শকদের মনে। শুধু ভক্ত-সমর্থকরা নয়, হামজা দলে থাকলে বাকি ফুটবলাররাও মানসিকভাবে চাঙা থাকেন বলে মনে করেন ফরোয়ার্ড রাকিব হোসেন।
আগামী ১৮ নভেম্বর ঢাকায় এশিয়ান কাপ বাছাইয়ে ভারতের বিপক্ষে বাংলাদেশের নিজেদের শেষ হোম ম্যাচ খেলবে। সেই ম্যাচের আগে ১৩ নভেম্বর নেপালের বিরুদ্ধে একটি প্রীতি রয়েছে লাল-সবুজের প্রতিনিধিদের। জাতীয় দলের জার্সিতে ম্যাচ দুটি খেলতে ইতোমধ্যে দেশে এসেছেন হামজা চৌধুরী।
আরো সপ্তাহখানেক আগে জাতীয় দলের অনুশীলন ক্যাম্প শুরু করেছে বাংলাদেশ। যেখানে আজ দলীয় অনুশীলনে যোগ দিয়েছেন হামজা। এই তারকাকে পেয়ে প্রাণচঞ্চল্য হয়েছেন বাকি ফুটবলাররাও। অনুশীলন শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেছেন দলের ফরোয়ার্ড সামলানো রাকিব হোসেন।
সাংবাদিকদের সামনে হামজার উপস্থিতি নিয়ে রাকিব বলেন, ‘হামজা ভাই থাকলে এমনিতেই আমাদের টিম মোরালি অনেক আপ হয়ে যায়। তো সে আসাতে আমাদের টিমের মোরাল আরও আপ হয়েছে।’ ইংলিশ প্রিমিয়ার ফুটবল লিগে লেস্টারের মতো বড় ক্লাবে খেলছেন হামজা।
হামজাকে নিজেদের ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর করেছে বেশ কিছু প্রতিষ্ঠান। যা বাকি ফুটবলারদের আরও অনুপ্রাণিত করছে বলে মনে করেন তিনি, ‘হামজা ভাই অনেক প্রফেশনাল একজন ফুটবল প্লেয়ার। তার এগুলো আসলে আমাদের কাছে অনেক ভালো লাগে। কারণ সে আসার পর থেকেই এখন পর্যন্ত ব্যস্ত। তো এখন এগুলো আসলে ফুটবলের জন্যই অনেক ভালো।’
বাংলাদেশ-ভারত ম্যাচ নিয়ে সমর্থকদের বিপুল আগ্রহ ফুটবলারদের জন্য চাপ কিনা, এমন প্রশ্নে রাকিব বলেন, ‘না, আসলে চাপ না। কারণ ফুটবলের ম্যাচের আসলে আকর্ষণীয় হলো দর্শক, যারা আমাদেরকে মাঠে সবসময় এনার্জি দেয়। তো এবার আমরা দেখছি যে খুব তাড়াতাড়ি টিকিট বিক্রি হয়ে গেছে। তো এইটা আসলে আমাদের জন্য অনুপ্রেরণা ভালো কিছু করার জন্য।’
ভারতের বিপক্ষে মাঠে নামার আগে সর্বোচ্চ প্রস্তুতি নিতে নেপাল ম্যাচের দিকে তাকিয়ে থাকবে বাংলাদেশ দল। প্রস্তুতিমূলক এই ম্যাচে সকল ফুটবলারকেই পরখ করে দেখার চেষ্টা চলবে বলে জানান রাকিব। নেপাল ম্যাচে ভালো প্রস্তুতি নিয়ে ভারতের বিপক্ষে জয়ের উদ্দেশ্যে মাঠে নামার কথা জানিয়েছেন তিনি।
ক্রিফোস্পোর্টস/১১নভেম্বর২৫/এফএএস