খুব একটা ভালো সময় পার করছেন না চোট জর্জরিত ব্রাজিলিয়ান সুপারস্টার নেইমার জুনিয়র। ব্রাজিলিয়ান লিগে ফ্লামেঙ্গোর বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে শুরুর একাদশে ফিরলেও নিজের ছাপ রাখতে পারেননি পারফরম্যান্সে, উল্টো জড়িয়েছেন বিতর্কে।
ব্রাজিলের মারাকানা স্টেডিয়ামে ফ্লামেঙ্গোর বিপক্ষে ৩-২ গোলে হারার দিনে কোনো গোল বা অ্যাসিস্টের দেখা পাননি নেইমার। এই হারে শিরোপা জয়ের লড়াইয়ে পিছিয়ে পড়ার পাশাপাশি শঙ্কা তৈরি হয়েছে অবনমনের।
প্রায় ২ মাস পর শুরুর একাদশে ফেরা নেইমার বারবার ফাউলের শিকার হন ফ্লামেঙ্গোর খেলোয়াড়দের দ্বারা। শুধু ফাউলেই সীমাবদ্ধ থাকেনি, দুয়োধ্বনি শুনেছেন ফ্লামেঙ্গোর সমর্থকদের কাছ থেকে।
দুয়োধ্বনি নিয়ে রেফারির কাছে অভিযোগ জানালেও প্রতিকার পাননি নেইমার। উল্টো তাঁকে হলুদ কার্ড দেখান ম্যাচ রেফারি।
পারফরম্যান্সে নিজের ছাপ রাখতে না পারায় ম্যাচের ৮৫ মিনিটে নেইমারকে তুলে নেন কোচ হুয়ান পাবলো ভইভোদা। এতে রেগে গিয়ে বেঞ্চের পাশে রাখা পানির বোতলে লাথি মারেন নেইমার। পানি গিয়ে পড়ে কয়েকজন সতীর্থ খেলোয়াড়ের গায়ে।
এরপর মন খারাপ করে সোজা মারাকানার ড্রেসিংরুমে চলে যান নেইমার। তাঁকে তুলে নেওয়ার পর সান্তোস দুটি গোল শোধ করতে পারলেও হার এড়াতে পারেনি।
ম্যাচ শেষে নেইমার রেফারি সাভিও সাম্পাইয়োর বিরুদ্ধে অভিযোগের সুরে বলেন, ‘সম্মান জানিয়েই বলছি, তিনি (রেফারি) খুব খারাপ ও অহংকারী। রেফারিরা সব সময় বলে থাকেন, শুধু দলের অধিনায়ক তাঁদের সঙ্গে কথা বলতে পারবেন। অন্য কেউ কথা বলতে গেলেই তাঁরা পেছনে ঘুরে যান, হুমকি দেন।’
ব্রাজিলিয়ান লিগে পয়েন্ট তালিকার ১৭ নম্বরে থাকা সান্তোসের পরের ম্যাচে রোববার ভোরে মুখোমুখি হবে শীর্ষে থাকা পালমেইরাসের।
ক্রিফোস্পোর্টস/১০নভেম্বর২৫/এআই