বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) গত আসরটা ছিল বেশ এলোমেলো। ফ্রাঞ্চাইজিগুলোর পক্ষ থেকে ক্রিকেটারদের পারিশ্রমিক ও হোটেল ভাড়া বকেয়া, ফিক্সিং ইস্যুসহ নানা বিতর্কে জর্জরিত ছিল সবশেষ আসর। তাই এবারের আসরে সবকিছু ঠিক রেখে ভালোভাবে টুর্নামেন্ট আয়োজন করতে চায় বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)।
গত মাসেই নির্বাচনের মধ্য দিয়ে গঠিত হয়েছে নতুন বোর্ড। আগামী বিপিএল আয়োজনের জন্য পর্যাপ্ত পাচ্ছে না বোর্ড। তবে এই অল্প সময়ের মধ্যেই যতটা সম্ভব গুছিয়ে দেশের এই শীর্ষ ফ্রাঞ্চাইজি টুর্নামেন্টটি আয়োজন করতে চায় বোর্ড। সেই লক্ষ্যে অনেক যাচাই-বাছাই করে এবার দল চূড়ান্ত করছে দেশের ক্রিকেটের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক সংস্থা।
আগামী বিপিএলে দল পেতে আগ্রহ জানিয়েছিল ১০ প্রতিষ্ঠান। তবে বিসিবির দুই দফা যাচাই–বাছাই, কাগজপত্রের খুঁটিনাটি বিশ্লেষণ, আর্থিক স্বচ্ছতা পরিমাপের পর শেষ পর্যন্ত দল গঠনের অনুমতি পেয়েছে ৫ প্রতিষ্ঠান। দল পেতে ২ কোটি টাকা ফ্র্যাঞ্চাইজি ফি দিয়েছে প্রতিষ্ঠানগুলো।
তবে আরও এক দফা যাচাই বাকি রয়েছে। আগামী পাঁচ কর্মদিবসের মধ্যে ১০ কোটি টাকার ব্যাংক গ্যারান্টি দিতে হবে এই ৫ প্রতিষ্ঠানকে। যেসব প্রতিষ্ঠান ব্যাংক গ্যারান্টি দিতে ব্যর্থ হবে তারা বিপিএলে অংশ নিতে পারবে না।
তবে বিপিএলে দল কম হওয়ায় লোকসানের শঙ্কা দেখছে ফ্রাঞ্চাইজিগুলো। দল কম হলে ম্যাচ কম হবে। এর ফলে গেট মানি এবং স্পন্সর অর্থও কমে যাবে। তাই দল বাড়কে গেট মানির সঙ্গে সঙ্গে স্পন্সর অর্থও বাড়বে। তবে বিপিএলে আরেকটি দল বাড়ানোর চিন্তা করছে বিপিএলের গভর্নিং কাউন্সিল। যদি সবগুলো ফ্রাঞ্চাইজি চায়, তাহলে আরেকটি দল বাড়ানোর চেষ্টা করবে আয়োজক কর্তৃপক্ষ।
এ বিষয়ে বিসিবি পরিচালক ও বিপিএল গভর্নিং কাউন্সিলের সদস্য সচিব ইফতেখার রহমান বলেন, ‘আমরা চাচ্ছি গতবারের চেয়ে এবারের বিপিএলটায় যতবেশি ইমেজ উন্নতি করা যায়। সুতরাং আমরা চেষ্টা করছি, সবদগুলো যদি চায়, তখন আমরা তাদের সাথে কথা বলে দেখব দল বাড়ানো যায় কিনা।’
প্রাথমিকভাবে বিপিএলের ৫ দল চূড়ান্ত। এই প্রতিষ্ঠানগুলো নিয়ে শিগগিরই বিপএল গভর্নিং কাউন্সিলের চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত জানা যাবে। সব ঠিক থাকলে আগামী ১৯ ডিসেম্বর থেকে শুরু হবে বিপিএলের ১২তম আসর।
ক্রিফোস্পোর্টস/৫নভেম্বর২৫/বিটি