ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে দুর্দান্ত ফর্ম ধরে রেখেছে ম্যানচেস্টার সিটি। রোববার রাতে বোর্নমাউথকে ৩–১ গোলে হারিয়ে পয়েন্ট টেবিলের দ্বিতীয় স্থানে উঠেছে পেপ গার্দিওলার দল। দুই গোল করেছেন আরলিং হালান্ড, একটি গোল নিকো ও’রেইলির।
এই জয়ে ১০ ম্যাচে সিটির পয়েন্ট দাঁড়িয়েছে ১৯। শীর্ষে থাকা আর্সেনালের পয়েন্ট ২৫। বোর্নমাউথ ১৮ পয়েন্ট নিয়ে চতুর্থ স্থানে আছে।
ম্যাচের শুরুটা ছিল বোর্নমাউথের জন্য মোটেও খারাপ ছিল না। তবে সিটির গতি সামলানো কঠিন হয়ে পড়ে তাদের জন্য। ১৭তম মিনিটে মিডফিল্ড থেকে নিকো গঞ্জালেজের লব পাসে রায়ান শেরকি বল বাড়ান হালান্ডের দিকে। নরওয়ের এই স্ট্রাইকার প্রায় অর্ধেক মাঠ দৌড়ে গোলরক্ষক পেট্রোভিচের পায়ের নিচ দিয়ে জালে পাঠান।
তবে ২৫তম মিনিটে সমতায় ফেরে বোর্নমাউথ। কর্নার থেকে তৈরি হওয়া গোলমাল সামলাতে গিয়ে সিটির গোলরক্ষক দোনারুমা পড়ে যান, সেই সুযোগে টাইলার অ্যাডামস কাছ থেকে শট নিয়ে গোল করেন। রেফারি ভিএআর চেক করে গোলটি বৈধ ঘোষণা করেন, যা নিয়ে ক্ষুব্ধ ছিল সিটি শিবির।
৩৭তম মিনিটে আবারও হালান্ড। শেরকির নিখুঁত পাস ধরে এবারও গোলরক্ষককে কাটিয়ে বল জালে পাঠান এই স্ট্রাইকার। হ্যাটট্রিকের সুযোগও পেয়েছিলেন তিনি, কিন্তু তার পাস থেকে ও’রেইলির শট গোললাইন থেকে ফিরিয়ে দেন বোর্নমাউথ ডিফেন্ডার আলেক্স জিমেনেজ।
দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে বোর্নমাউথ কিছুটা আক্রমণাত্মক হয়। এলি ক্রুপির দুটি সুযোগ তৈরি হয়, তবে দোনারুমা দুর্দান্ত সেভ করে দলকে রক্ষা করেন।
৫৮তম মিনিটে গোল পায় সিটি। ফিল ফোডেনের পাস ধরে নিকো ও’রেইলি এক টাচে নিয়ন্ত্রণে নিয়ে নিখুঁত শটে বল পাঠান জালে। ৮২ মিনিটে হালান্ডকে তুলে নেন গার্দিওলা। বদলি হিসেবে নামা মারমুশ ও রেইজেন্ডার্স আরও কিছু সুযোগ পেলেও কাজে লাগাতে পারেননি। শেষ পর্যন্ত ৩-১ ব্যবধানে জয় নিয়েই মাঠ ছাড়ে সিটি।
ম্যাচ শেষে কোচ পেপ গার্দিওলা বলেন, “হালান্ড আবারও প্রমাণ করেছে কেন সে বিশ্বের সেরা স্ট্রাইকার। তবে আমি সবচেয়ে খুশি শেরকিকে নিয়ে যে ইনজুরি কাটিয়ে ফিরে দুই অ্যাসিস্ট করেছে, যা আমাদের জয়ের মূল পার্থক্য।”
এদিকে লিগের শুরুতে কিছুটা ছন্দ হারালেও এখন ক্রমান্বয়ে ফর্ম ফিরে পাচ্ছে সিটি। হালান্ডের ধারাবাহিকতা, শেরকির ফর্ম আর দোনারুমার সেভ সব মিলিয়ে দলটি আবারও শিরোপার দাবিদার হিসেবে নিজেদের জানান দিচ্ছে।
ক্রিফোস্পোর্টস/৩নভেম্বর২৫/টিএ