ভারতীয় কিংবদন্তি শচীন টেন্ডুলকারের অনুপ্রেরণায় আইসিসি নারী ক্রিকেট বিশ্বকাপ ফাইনালে জ্বলে উঠলেন শেফালি ভার্মা। ২১ বছর বয়সী এই ওপেনার দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে খেললেন ৮৭ রানের ম্যাচজয়ী ইনিংস, যা ভারতের প্রথম নারী বিশ্বকাপ জয়ে বড় ভূমিকা রাখে।
ফাইনালের আগে ভারতের নিয়মিত ওপেনার প্রতিকা রাওয়াল চোটে ছিটকে পড়েন। তার জায়গায় দলে সুযোগ পান শেফালি, যিনি গত বছর ওয়ানডে দল থেকে বাদ পড়ার পর অনেকদিন ধরেই দলের বাইরে ছিলেন। সেমিফাইনালে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে মাত্র ১০ রান করলেও ফাইনালে নিজেকে নতুনভাবে মেলে ধরেন।
ম্যাচ শেষে শেফালি জানান, খেলার আগে মাঠে শচীন টেন্ডুলকারকে দেখে তিনি আত্মবিশ্বাস ফিরে পান। তিনি বলেন, “যখন আমি ওনাকে (শচীন) দেখি, অবিশ্বাস্য এক শক্তি পাই। উনি আমাকে সবসময় আত্মবিশ্বাস দেন। উনি ক্রিকেটের মাস্টার, আর আমরা সবাই ওনাকে দেখে অনুপ্রাণিত হই।”
শুধু ব্যাট হাতে নয়, বল হাতেও শেফালি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন। ভারতের অধিনায়ক হারমানপ্রীত কৌর দক্ষিণ আফ্রিকার ইনিংসে গুরুত্বপূর্ণ সময়ে বল তুলে দেন শেফালির হাতে, আর তিনি টানা দুটি উইকেট তুলে নিয়ে ম্যাচের মোড় ঘুরিয়ে দেন।
হারমানপ্রীত বলেন, “ওকে বোলিং করানোটা ছিল একধরনের অনুভূতি। ঝুঁকিও ছিল, কিন্তু ও আত্মবিশ্বাসী ছিল। আমি ভেবেছিলাম চেষ্টা না করলে পরে আফসোস হবে। আর ও যখন টানা দুই উইকেট নিল, ওটাই ম্যাচের টার্নিং পয়েন্ট হয়ে যায়।”
দীর্ঘ সময় জাতীয় দল থেকে বাইরে থাকার পর এই পারফরম্যান্সে আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েন শেফালি। তিনি বলেন, “আমি খুব খুশি। এটা ভাষায় প্রকাশ করা যাবে না। সময়টা কঠিন ছিল, কিন্তু আমি নিজের ওপর বিশ্বাস রেখেছি। ভেবেছিলাম যদি স্বাভাবিক থাকি, তাহলে পারব।”
তিনি আরও বলেন, “আমি শুধু চেয়েছিলাম দল যেন জেতে। নিজের পরিকল্পনায় বিশ্বাস রেখেছি। সবাই পাশে ছিল, সিনিয়ররা শুধু বলেছিল নিজের খেলাটা খেলো। এই সমর্থনই সবচেয়ে বড় প্রেরণা ছিল। এটাই আমার জীবনের এক অন্যতম স্মরণীয় মুহূর্ত হয়ে থাকবে।”
ক্রিফোস্পোর্টস/৩নভেম্বর২৫/টিএ