এল ক্লাসিকোর উত্তাপ শুধু মাঠেই আটকে থাকেনি, রিয়াল মাদ্রিদের ড্রেসিংরুমেও ছড়িয়ে পড়েছিল। বদলি হওয়ার পর কোচ জাবি আলোনসোর সিদ্ধান্তে বিরক্তি দেখিয়ে সমালোচনায় পড়েন ভিনিসিয়ুস জুনিয়র। শেষ পর্যন্ত নিজের আচরণের জন্য ক্ষমা চেয়েছেন এই ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ড।
রোববার রাতে বার্সেলোনার বিপক্ষে ম্যাচের শেষ দিকে ভিনিসিয়ুসকে তুলে নেন কোচ, তাঁর জায়গায় বদলি হিসেবে রদ্রিগো আসে মাঠে। হঠাৎ এই সিদ্ধান্তে ভিনি বেশ অবাক হন। ক্যামেরায় ধরা পড়ে, মুখে অবিশ্বাস আর চোখে রাগ। মাঠ ছাড়ার সময় ভিনিসিয়ুস বলছিলেন, “সব সময়ই আমি! আমি দল ছাড়ছি।” কিছুক্ষণ পর অবশ্য ফিরে এসে বেঞ্চে বসে ম্যাচ দেখেন তিনি। ম্যাচটি রিয়াল মাদ্রিদ ২–১ গোলে জিতে নেয়।
ভিনিসিয়ুসের এমন আচরণ নিয়ে দ্রুতই নানারকম আলোচনা শুরু হয় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। অনেকে প্রশ্ন তোলে আলোনসোর সঙ্গে ভিনির সম্পর্ক কি খারাপ? কোচ কেন প্রায়ই তাঁকে আগেভাগে তুলে নেন? এমনকি কিছু সংবাদমাধ্যমে ভিনিসিয়ুসের দল ছাড়ার গুঞ্জনও উঠে আসে।
সব জল্পনা-কল্পনার মধ্যে গতকাল সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এক বিবৃতি দিয়ে নিজের অবস্থান পরিষ্কার করেছেন ভিনিসিয়ুস। লিখেছেন, “ক্লাসিকোতে বদলি হওয়ার পর আমি যেভাবে প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছি, তার জন্য মাদ্রিদিস্তাদের কাছে ক্ষমা চাইছি। অনুশীলনে সতীর্থ, ক্লাব কর্তৃপক্ষ আর সভাপতির কাছেও দুঃখ প্রকাশ করেছি। কখনো কখনো আবেগ আমাকে পেয়ে বসে, কারণ আমি সব সময় জিততে চাই, দলকে সাহায্য করতে চাই। এই মানসিকতা এসেছে ক্লাবের প্রতি ভালোবাসা থেকে। আমি কথা দিচ্ছি, রিয়াল মাদ্রিদের হয়ে শেষ পর্যন্ত লড়ে যাব।”
ভিনিসিয়ুসের প্রকাশ্য ক্ষমা চাওয়ার পর পরিস্থিতি আপাতত শান্তই মনে হচ্ছে। তবু পুরো বিবৃতিতে কোচ আলোনসোর নাম না থাকায় প্রশ্নটা থেকেই যাচ্ছে যে দুজনের সম্পর্ক কি সত্যিই স্বাভাবিক, নাকি বাইরের দিক থেকে চুপচাপ থাকলেও ভেতরে এখনো ঝামেলা বাকি?
উল্লেখ্য, ভিনিসিউসের সঙ্গে রিয়াল মাদ্রিদের চুক্তি ২০২৭ সালের জুন পর্যন্ত। এই মৌসুম শেষ হলে তিনি আরও দুই বছর রিয়ালে থাকবেন- এটাই চুক্তিতে বলা আছে। কিন্তু চুক্তি নবায়ন না করলে, পরের মৌসুমের শুরুতেই ফ্লোরেন্তিনো পেরেজের বোর্ড তাকে বড় অঙ্কের টাকায় বিক্রি করতে চায়।
ক্রিফোস্পোর্টস/৩০অক্টোবর২৫/টিএ