অস্ট্রেলিয়ার সাবেক অধিনায়ক আর দুইবারের বিশ্বকাপজয়ী মেগ ল্যানিং স্পষ্ট করে বললেন, এই নারী বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে ইংল্যান্ড আর অস্ট্রেলিয়া এই দুই দলই এগিয়ে। ‘দ্য আইসিসি রিভিউ’-তে কথা বলতে গিয়ে তিনি নিজের অভিজ্ঞতা থেকে বুঝিয়ে দিলেন, কেন এই দুই দল শেষ পর্যন্ত জয় তুলে নেবে। কারা ম্যাচের মোড় ঘুরিয়ে দিতে পারে, সেটাও আলোচনা করলেন।
ইংল্যান্ড বনাম দক্ষিণ আফ্রিকা নিয়ে ল্যানিং বলেন, দুই দলই ভালো খেলেছে, কিন্তু ইংল্যান্ডের গভীরতা আর ধারাবাহিকতা তাদের একটু এগিয়ে রাখে। তার কথায়, “ইংল্যান্ড টুর্নামেন্ট জুড়ে নিজেদের তৈরি করেছে। ন্যাট সিভার-ব্রান্ট, হিদার নাইট, সোফি এক্লেস্টোন ওরা সবাই দুর্দান্ত। যদি আরও কয়েকজন খেলোয়াড়ও অবদান রাখে, ইংল্যান্ড ভয়ংকর হয়ে উঠবে।”
ল্যানিংয়ের চোখে, হিদার নাইটই ইংল্যান্ডের আসল ভরসা। “হিদার মাথা ঠান্ডা রেখে খেলে বড় ম্যাচে এই গুণটা খুব দরকার। এতে ন্যাটও নিজের খেলাটা খেলতে পারে।”
অন্যদিকে, দক্ষিণ আফ্রিকার দলে তিনি ভরসা রাখছেন মারিজান ক্যাপের ওপর। “ক্যাপ ব্যাট আর বল, দুই দিকেই ম্যাচে ছাপ ফেলতে পারে। ওর আগ্রাসী মনোভাব গোটা দলকে চাঙা করে দেয়। ম্যাচের শুরুতেই যদি জ্বলে ওঠে, দক্ষিণ আফ্রিকার আত্মবিশ্বাস একদম বেড়ে যাবে।”
অন্যদিকে ভারত বনাম অস্ট্রেলিয়া ম্যাচ নিয়ে ল্যানিং বললেন, “ভারত নিজেদের মাঠে খেলছে, দর্শকদের সমর্থনও পাবে। তবু, আমি বলব অস্ট্রেলিয়ার দলীয় ভারসাম্যের জন্য বেশি এগিয়ে থাকবে।”
তিনি বলেন, “অস্ট্রেলিয়া এক-দুজন খেলোয়াড়ের ওপর নির্ভরশীল নয়। শুরুতে ব্যাটিংয়ে সমস্যা হলেও, মিডল অর্ডারে শক্ত ব্যাটাররা আছেন, পরিস্থিতি সামাল দিতে পারে।”
ভারতের জন্য ল্যানিংয়ের আস্থা হারমানপ্রীত কৌরের ওপর। “হারমানপ্রীত দারুণ খেলছে, কিন্তু এখনো বড় কোনো ইনিংস খেলেনি। মনে হচ্ছে, এবার সেটাই হবে। সে একবার ছন্দে এলে, থামানো কঠিন।”
অস্ট্রেলিয়ার দলে তিনি বেছে নিয়েছেন বেথ মুনিকে। “বেথ মুনি ইনিংসের যেকোনো সময় খেলার ধরণ বদলাতে পারে। শুরুটা ভালো হলে রানের গতি বাড়ায়, আর উইকেট পড়লেও ইনিংস টেনে নিতে পারে। এমন খেলোয়াড় বড় ম্যাচে পার্থক্য গড়ে দেয়।”
সব মিলিয়ে, ল্যানিংয়ের বিশ্লেষণ বলছে এই বিশ্বকাপের ফাইনালে দেখা যাবে ইংল্যান্ড আর অস্ট্রেলিয়াকে।
ক্রিফোস্পোর্টস/২৯অক্টোবর২৫/টিএ