২০২১ সালে তালেবান সরকার ক্ষমতা গ্রহণের পর নারীদের খেলাধুলা সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ করলে বহু নারী ফুটবলার দেশ ছাড়তে বাধ্য হন, জীবন ও স্বাধীনতার ঝুঁকি এড়িয়ে বিদেশে আশ্রয় নেন।
তালেবান ক্ষমতায় আসার আগে ২৫ জন নারী ফুটবলার ফেডারেশনের চুক্তিভুক্ত ছিলেন, যাদের অধিকাংশ বর্তমানে অস্ট্রেলিয়ায় বসবাস করছেন।চলতি বছরের মে মাসে ফিফা ‘আফগান উইমেন ইউনাইটেড’ নামে একটি শরণার্থী নারী দল গঠনের অনুমোদন দেয় এবং স্কটিশ কোচ পলিন হ্যামিলকে প্রধান কোচ হিসেবে নিয়োগ করে। সেই দলের ব্যানারে অবশেষে আন্তর্জাতিক ফুটবলে মাঠে নামার সুযোগ পেলো আফগান নারীরা।
মরক্কোতে অনুষ্ঠিত ফিফা নারী ফুটবল টুর্নামেন্টে আফগান নারী শরণার্থী দল চাদের কাছে ৬-১ ব্যবধানে পরাজিত হয়েছে। তবে খেলোয়াড়দের জন্য জয়-পরাজয় ছাপিয়ে বড় হয়ে উঠেছিল মাঠে ফেরার আনন্দ। ২০২১ সালে কাতারের বিপক্ষে ৫-০ ব্যবধানে হারের পর এটাই ছিল আফগান নারী দলের প্রথম আন্তর্জাতিক ম্যাচ।
দলের অধিনায়ক ফাতিমা হায়দারি ম্যাচের আগে বলেন, ‘এটাই আমরা এত বছর ধরে চেয়েছি, আমাদের প্রাপ্য অধিকার, খেলতে পারার অধিকার, নিজের দেশকে প্রতিনিধিত্ব করার অধিকার। আমরা ফিফার কাছে কৃতজ্ঞ যে তারা আমাদের এই সুযোগটি দিয়েছে।’
আফগান উইমেন ইউনাইটেডের পরবর্তী ম্যাচ বুধবার তিউনিসিয়ার বিপক্ষে এবং শনিবার তাদের শেষ ম্যাচ লিবিয়ার বিপক্ষে অনুষ্ঠিত হবে। প্রথমে এই টুর্নামেন্টটি সংযুক্ত আরব আমিরাতে হওয়ার কথা ছিল। তবে আফগান দলকে দেশটিতে প্রবেশের অনুমতি না দেওয়ায় শেষ মুহূর্তে তা মরক্কোতে স্থানান্তর করা হয়।
ক্রিফোস্পোর্টস/২৭অক্টোবর২৫/এআই