অ্যাশেজ সিরিজ শুরুর আগেই বড় ধাক্কা খেল অস্ট্রেলিয়া। পিঠের চোটের কারণে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে প্রথম টেস্টে খেলতে পারবেন না দলের অধিনায়ক প্যাট কামিন্স। সিরিজের উদ্বোধনী ম্যাচটি শুরু হবে আগামী ২১ নভেম্বর পার্থে।
ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার এক ঘোষণায় জানানো হয়েছে, কামিন্স এখনও পুরোপুরি ফিট নন। তিনি দৌড়ানোর অনুশীলন শুরু করলেও বোলিং অনুশীলনে ফিরতে আরও কিছু সময় লাগবে। তাই তাকে প্রথম টেস্টে বিশ্রাম দেওয়া হয়েছে, যাতে পরের ম্যাচের আগে পুরোপুরি সুস্থ হয়ে উঠতে পারেন। কামিন্স এখন লক্ষ্য রেখেছেন দ্বিতীয় টেস্টে মাঠে ফেরার দিকে, যা শুরু হবে ৪ ডিসেম্বর ব্রিসবেনে।
তার অনুপস্থিতিতে অস্ট্রেলিয়ার নেতৃত্বের দায়িত্ব নিতে যাচ্ছেন সাবেক অধিনায়ক স্টিভ স্মিথ। কামিন্সের জায়গায় দলে সুযোগ পেতে পারেন পেসার স্কট বোল্যান্ড। তার সঙ্গে বল করবেন নিয়মিত দুই অভিজ্ঞ বোলার মিচেল স্টার্ক ও জশ হ্যাজেলউড। স্পিন বিভাগের দায়িত্ব থাকবে নাথান লায়নের হাতে।
অ্যাশেজ সিরিজের সূচি অনুযায়ী, প্রথম টেস্ট হবে পার্থ স্টেডিয়ামে ২১ থেকে ২৫ নভেম্বর পর্যন্ত। এরপর দ্বিতীয় টেস্ট ৪ থেকে ৮ ডিসেম্বর ব্রিসবেনের গাবায়। তৃতীয় টেস্ট হবে অ্যাডিলেড ওভালে ১৭ থেকে ২১ ডিসেম্বর। ঐতিহ্যবাহী বক্সিং ডে টেস্ট অনুষ্ঠিত হবে মেলবোর্ন ক্রিকেট গ্রাউন্ডে ২৬ থেকে ৩০ ডিসেম্বর। আর পঞ্চম ও শেষ টেস্ট হবে জানুয়ারির ৪ থেকে ৮ তারিখ পর্যন্ত সিডনি ক্রিকেট গ্রাউন্ডে।
অস্ট্রেলিয়া দলের জন্য কামিন্সের অনুপস্থিতি বড় ধাক্কা হলেও টিম ম্যানেজমেন্ট আশাবাদী, তিনি সিরিজের বাকি অংশে ফিরবেন পূর্ণ ফিটনেসে।
উল্লেখ্য, অ্যাশেজ বা দি অ্যাশেজ হলো ক্রিকেটের সবচেয়ে ঐতিহ্যবাহী ট্রফিগুলোর একটি। ইংল্যান্ড ও অস্ট্রেলিয়ার মধ্যে অনুষ্ঠিত টেস্ট সিরিজের বিজয়ী দলকে ১৮৮২ সাল থেকে এই ট্রফি দেওয়া হয়। এর সূচনা হয় এক ঐতিহাসিক ঘটনার মধ্য দিয়ে। সেই বছর ওভালে অস্ট্রেলিয়ার কাছে হেরে যায় ইংল্যান্ড। পরাজয়ের পর ইংরেজ সংবাদমাধ্যমে ব্যঙ্গাত্মকভাবে বলা হয়, ইংল্যান্ড ক্রিকেটের “ছাই” এখন অস্ট্রেলিয়ায় যাবে। এরপর প্রতীকীভাবে একটি ছাইভর্তি পাত্র ইংল্যান্ড দলকে উপহার দেওয়া হয়, যা পরবর্তীতে অ্যাশেজ ট্রফি হিসেবে স্বীকৃতি পায়।
বর্তমানে অ্যাশেজ সিরিজ ক্রিকেট বিশ্বের সবচেয়ে মর্যাদাপূর্ণ দ্বিপাক্ষিক প্রতিযোগিতাগুলোর একটি হিসেবে পরিচিত। এটি দুই বছর পরপর পালাক্রমে ইংল্যান্ড ও অস্ট্রেলিয়ায় অনুষ্ঠিত হয়। সিরিজে পাঁচটি টেস্ট ম্যাচ থাকে, প্রতিটি ম্যাচ দুই ইনিংসের নিয়মে খেলা হয়। যদি সিরিজ ড্র হয়, তবে আগের অ্যাশেজ জয়ী দলই ট্রফিটি ধরে রাখে।
ক্রিফোস্পোর্টস/২৭অক্টোবর২৫/টিএ