এর আগে প্রথমবার ২০১৩ সালে থাইল্যান্ডের বিপক্ষে মাঠে নেমেছিল বাংলাদেশ নারী ফুটবল দল। সেই ম্যাচে নারীরা হেরেছিল ৯-০ গোলের বিশাল ব্যবধানে। দীর্ঘ এক যুগ পর আবারও সেই শক্তিশালী প্রতিপক্ষের বিপক্ষে মাঠে নামল বাংলাদেশ। প্রতিদ্বন্দ্বিতা দেখানোর প্রত্যাশা জানালেও এই ম্যাচে লাল-সবুজের প্রতিনিধিরা পরাজিত হয়েছে ৩-০ গোলে।
গতকাল শুক্রবার বিকেলে থনবুরি বিশ্ববিদ্যালয় অনুশীলন মাঠে ফিফা র্যাঙ্কিংয়ে ৫১ ধাপ এগিয়ে থাকা থাইল্যান্ডের বিপক্ষে প্রথম প্রীতি ম্যাচে মাঠে নেমেছিল বাংলাদেশ। এশিয়ান কাপের জন্য নিজেদের প্রস্তুত করতে থাইল্যান্ড সফরে গিয়েছে বাংলাদেশ। প্রথম ম্যাচে এমন পরাজয়ে বেশ ক্ষুব্ধ কোচ পিটার বাটলার। তিনি প্রশ্ন তুলেছেন ফুটবলারদের মানসিকতা নিয়ে।
ম্যাচ হেরে ক্ষুব্ধ বাটলার বলেন, ‘কয়েকজন ফুটবলার ভুল মানসিকতা নিয়ে মাঠে নেমেছে, এমন গা ছাড়া মনোভাব কিছুতেই সহ্য করব না। কেউ যদি আমার দলে খেলতে চায়, দেশের প্রতিনিধিত্ব করতে চায়, তাহলে এমন মানসিকতা নিয়ে আসতে পারবে না, যা জাতীয় দলের সঙ্গে মানানসই নয়। হার-জিতের চেয়েও সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে এটি শেখার প্রক্রিয়া এবং সেটাকে সম্মান করতে হবে।’
এর আগে বাটলারের বিরুদ্ধে বিক্ষোভের ডাক দিয়ে জাতীয় দল থেকে সরে দাঁড়ানো ফুটবলারদের ছাড়াই দল গুছিয়েছেন বাটলার। তেমন কিছু আবার ঘটা প্রসঙ্গে এই ইংলিশ কোচ বলেন, ‘আমি এমন খেলোয়াড়দের খেলাতে পেরে খুশি যারা বড় কোনো নাম নয়, কিন্তু সঠিক মানসিকতা নিয়ে মাঠে নামে। তারা কঠোর পরিশ্রম করতে চায়, উন্নতি করতে চায়। কেউ আমার পরীক্ষা নিতে চাইলে নিক। এমনটা আগেও হয়েছে, আবারও হলে আমি নিজের জায়গায় শক্ত থাকব। কিন্তু অসম্মান ও বাজে আচরণ সহ্য করব না।’
মাঠ নিয়ে নিজের অসন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন বাটলার, ‘আমি জানি না আদৌ এটি টায়ার-১ প্রীতি ম্যাচ ছিল কি না। কারণ আমরা একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের মাঠে এমন পরিবেশে খেলেছি, যেখানে আলো অতটা ভালো ছিল না। ম্যাচটি আসলে জাতীয় দলের ম্যাচের মতো লাগেনি। বরং প্রস্তুতি ম্যাচের মতো লাগছিল। ভবিষ্যতে এমন ম্যাচ আয়োজনের ক্ষেত্রে আমাদের আরও সতর্ক থাকতে হবে। এই ম্যাচ থেকে অনেক ইতিবাচক কিছু পেয়েছি আমরা।’
ম্যাচ হারলেও প্রাপ্তি খোঁজার চেষ্টা করেছেন বাটলার, ‘আমরা প্রচুর তরুণীকে সুযোগ দিয়েছি—শিখা, নবিরণ, জয়নব, সাগরিকা, মুনকি, রিপা ও হালিমা। তবে এই ম্যাচ থেকে আমি অনেক কিছু পেয়েছি। কখনো কখনো হেরে যাওয়া ম্যাচ আপনাকে অনেক বেশি শেখায়।’
থাইল্যান্ডের বিপক্ষে দ্বিতীয় প্রীতি ম্যাচে আগামী ২৭ অক্টোবর ফের মাঠে নামবে বাংলাদেশের মেয়েরা। এরপর নভেম্বরে ঘরের মাঠে মালয়েশিয়া ও আজারবাইজানের সঙ্গে ত্রিদেশীয় সিরিজ খেলবে নারীরা। ২০২৬ এর মার্চে এশিয়ান কাপের মূল পর্বে প্রথমবারের মতো খেলবে ঋতুপর্ণা-আফঈদারা। তার আগে গেল জুলাইয়ের বাছাইপর্বে বাহারাইন, মিয়ানমার ও তুর্কেমেনিস্তানের মতো দলকে পরাজিত করেছিল বাংলাদেশ।
ক্রিফোস্পোর্টস/২৫অক্টোবর২৫/এফএএস