ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে বাংলাদেশের ওয়ানডে সিরিজে আলোচনায় ছিল মিরপুরের কালো উইকেট। সিরিজের তিন ম্যাচেই আধিপত্য বিস্তার করেছিলেন স্পিনাররা। তাই দ্বিতীয় ম্যাচে গোটা ৫০ ওভারই স্পিনার দিয়ে করায় ওয়েস্ট ইন্ডিজ। জয়ও পেয়েছিল তারা। তবে সিরিজ নির্ধারণী ম্যাচে শেষ হাসি হাসে বাংলাদেশ।
এদিন সৌম্য সরকার ও সাইফ হাসানের রেকর্ড গড়া ঝড়ো ওপেনিং জুটির সুবাদে ২৯৬ রানের বড় সংগ্রহ পায় টাইগাররা। জবাব দিতে নেমে আবারও স্বাগতিকদের স্পিন ঘূর্ণিতে দিশেহারা হয় উইন্ডিজ। মাত্র ১১৭ রানে গুটিয়ে যায় তাদের ইনিংস। ম্যাচ শেষে তাই অনুমেয় ভাবেই আলোচনা হয়েছে উইকেট নিয়ে। সংবাদ সম্মেলনে টাইগার অধিনায়ক মাহেদী হাসান মিরাজ কথা বলেছেন উইকেট নিয়ে।
তিনি বলেছেন, ‘আমরা তো সবসময়ই জানি মিরপুরের উইকেটটা কেমন হবে। এটা তো আমাদের কাছে নতুন কিছু না। আমি আন্তর্জাতিক ৯ বছর খেলেছি। অভিষেকেও এখানেই খেলেছি। পার্থক্য সেরকম কিছু না। আগে একটু ঘাস দিত, এখন ঘাস নেই। জিনিসটা এটাই। ঘাস থাকলে বল অনেক সময় স্কিড করে। এছাড়া আর পার্থক্য মনে হয় নাই।’
হোম অ্যাডভান্টেজ নেওয়া প্রসঙ্গে মিরাজ বলেছেন, ‘পৃথিবীর যেখানেই খেলতে যান, তারা কিন্তু হোম এডভান্টেজটা নেয়। আমরা নিউজিল্যান্ডে খেলেছি সেখানে হোম এডভান্টেজটা নিয়েছি। কোনো দল বাংলাদেশে আসলে আমরা হোম এডভান্টেজটা নিব। দ্বিপাক্ষিক সিরিজে আমার মনে হয় হোম এডভান্টেজটা অনেক জরুরি। অবশ্যই ৩ ম্যাচ জিতলে ভালো জায়গায় থাকতাম। দ্বিতীয় ম্যাচটায় অনেক এক্সাইটমেন্ট ছিল।’
বাংলাদেশ সফরে আসার কথা আফগানিস্তানের। তাদের আছে বিশ্বমানের সব স্পিনার। তখন কেমন উইকেট হবে জানতে চাইলে মিরাজ বলেন, ‘আফগানিস্তান এলে আমরা ট্রু উইকেটে খেলব। এর আগে আফগানিস্তানের সাথে চট্টগ্রামে ওয়ানডে সিরিজ খেলেছি। সর্বশেষ (আবুধাবি) আফগানিস্তানের সাথে যে ওয়ানডে সিরিজটা খেলেছি সেখানে তারা অনেক স্লো উইকেট দিয়েছে, পেস বোলিং উইকেট দেয় নাই। তাদের স্পিনাররা যাতে এডভান্টেজ পায়। এটা দোষের কিছু না। দুনিয়ার সব দলই এটা করে।’
দেশের বাইরেও জিততে পারার ব্যাপারে মিরাজ বলেন, ‘আপনি যে বললেন বাইরে হেরেছি, আমরা বাইরে অনেক ম্যাচ জিতেছিও। বিশ্বকাপেও জিতেছি। হ্যাঁ বলতে পারেন যেই ফলটা করা দরকার ছিল সেরকম করতে পারিনি। এটা প্রসেসের ভেতর দিয়ে যেতে হবে, প্ল্যানিং আরও ভালোভাবে নিতে হবে। হোম এডভান্টেজ সবসময় নেই এমন না। ভারতের সাথে ট্রু উইকেটে খেলেছি মিরপুরে, চট্টগ্রামেও খেলেছি। আমরা ট্রু উইকেটেও খেলেছি।’
সদ্য শেষ হওয়া ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে সিরিজ বিভিন্ন দিক থেকে বেশ গুরুত্বপূর্ণ ছিল বাংলাদেশের জন্য। টানা চার ওয়ানডে সিরিজ পরাজয়ের পর এটা ছিল ঘুরে দাঁড়ানোর লড়াই। তবে সবথেকে বেশী মাথায় ছিল ২০২৭ ওয়ানডে বিশ্বকাপে সরাসরি খেলার যোগ্যতা অর্জনের সমীকরণ। তবে সেখানে খুব একটা সুখবর পায়নি টাইগাররা।
ক্রিফোস্পোর্টস/২৪অক্টোবর২৫/এফএএস