
রাওয়ালপিন্ডিতে অবশেষে জয় পেল দক্ষিণ আফ্রিকা। ২০০৭ সালের পর প্রথমবার পাকিস্তানের মাটিতে টেস্ট জিতল তারা। চতুর্থ দিনের সকালে মাত্র ৬৮ রানের লক্ষ্য তাড়া করে ৮ উইকেটে জিতেছে প্রোটিয়ারা। ফলে দুই ম্যাচের সিরিজ ১-১ এ সমতায় শেষ হলো।
তৃতীয় দিন শেষে পাকিস্তানের স্কোর ছিল ৪ উইকেটে ৯৪ রান। আশা ছিল বড় লিড গড়ার, কিন্তু চতুর্থ দিনে মাত্র ৪৪ রান যোগ করতেই সব উইকেট হারিয়ে বসে তারা। দ্বিতীয় ইনিংসে দলীয় স্কোর থামে ১৩৮ রানে। সেখান থেকেই ম্যাচটা পুরোপুরি দক্ষিণ আফ্রিকার নিয়ন্ত্রণে চলে যায়।
দিনের শুরুতেই নিজের অর্ধশতক পূর্ণ করেন বাবর আজম। কিন্তু একই ওভারে সাইমন হারমারের স্পিনে আউট হন তিনি। এরপর থেকে উইকেট পড়তে থাকে নিয়মিত বিরতিতে। হারমার পরের ওভারেই ফেরান মোহাম্মদ রিজওয়ানকে (১৮)। শেষদিকে সালমান আগা (২৮) ও সাজিদ খান (১৩) কিছুটা প্রতিরোধ গড়লেও তাতে খুব একটা লাভ হয়নি।
দক্ষিণ আফ্রিকার হয়ে দুর্দান্ত বোলিং করেন সাইমন হারমার। দ্বিতীয় ইনিংসে তিনি নেন ৬ উইকেট। টেস্টে প্রথমবার ইনিংসে ৫ উইকেট নেওয়ার পাশাপাশি প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে ১,০০০ উইকেট পূর্ণ করেন এই অভিজ্ঞ অফ স্পিনার। কেশব মহারাজ দুই ইনিংস মিলিয়ে ৯ উইকেট নিয়ে ম্যাচসেরা নির্বাচিত হন।
মাত্র ৬৮ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শুরু থেকেই আত্মবিশ্বাসী ব্যাটিং করেন প্রোটিয়ারা। ওপেনার এইডেন মার্করাম ও রায়ান রিকেলটন জুটিতে তুলে ফেলেন ৬৪ রান। ৪২ রান করে আউট হন মার্করাম, তার পরের বলেই ট্রিস্টান স্টাবস ফেরেন শূন্য রানে। কিন্তু ততক্ষণে জয়ের খুব কাছাকাছি পৌঁছে গেছে দল। রিকেলটন ২৫ রানে অপরাজিত থাকেন, জয় পায় দক্ষিণ আফ্রিকা।
১৮ বছর পর পাকিস্তানে টেস্ট জিতে ইতিহাসে নাম লেখালো দক্ষিণ আফ্রিকা। এখন দুই দল মুখোমুখি হবে তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজে। প্রথম ম্যাচ ২৮ অক্টোবর রাওয়ালপিন্ডিতেই অনুষ্ঠিত হবে।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
পাকিস্তান: ৩৩৩ ও ১৩৮ (বাবর ৫০, সালমান ২৮; হারমার ৬/৫০, মহারাজ ২/৩৪)
দক্ষিণ আফ্রিকা: ৪০৪ ও ৭৩/২ (মার্করাম ৪২, রিকেলটন ২৫*; নোমান ২/৪০)
ফল:দক্ষিণ আফ্রিকা ৮ উইকেটে জয়ী
ম্যাচসেরা: কেশব মহারাজ
সিরিজসেরা: সেনুরান মুতুসামি
ক্রিফোস্পোর্টস/২৩অক্টোবর২৫/টিএ
