
ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ম্যাচটা বাংলাদেশ হারল খুব মাত্র এক রানে। কিন্তু আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু দলের কিছু ভুল সিদ্ধান্ত। বিশেষ করে সুপার ওভারে রিশাদ হোসেনকে ব্যাটিং বা বোলিং দুটোই না করানোর সিদ্ধান্তে বিস্মিত ভক্তরা। এমনকি প্রতিপক্ষের খেলোয়াড় আকিল হোসেনও অবাক।
দ্বিতীয় ওয়ানডেতে রিশাদ ছিলেন বাংলাদেশের সেরা পারফরমারদের একজন। ১০ ওভারে ৪২ রান দিয়ে নেন ৩ উইকেট। এর আগে প্রথম ম্যাচেও দুর্দান্ত বোলিং করেছিলেন এই লেগস্পিনার। শুধু বোলিং নয়, ব্যাট হাতেও ছিলেন দুর্দান্ত। শেষ দিকে মাত্র ১৪ বলে ৩৯ রান করে দলকে ২০০ পেরিয়ে নিতে বড় ভূমিকা রাখেন তিনি।
তবে ম্যাচটি যখন সুপার ওভারে গড়াল, তখন সবাই ধরে নিয়েছিলেন বোলিং করবেন রিশাদই। পিচে টার্ন ছিল, বলও ছিল পুরনো ও নরম যা।স্পিনারদের জন্য একদম আদর্শ অবস্থা। কিন্তু বাংলাদেশ দল বোলিংয়ে পাঠালো মুস্তাফিজকে। অভিজ্ঞ এই পেসার সুপার ওভারে দিয়েছেন ১০ রান। অনেকেরই ধারণা, ওই ওভারে রিশাদ বল করলে ফল ভিন্ন হতে পারত।
এর চেয়েও বড় প্রশ্ন উঠেছে ব্যাটিং অর্ডার নিয়ে। সুপার ওভারে নামানো হয় সৌম্য সরকার ও নাজমুল হোসেন শান্তকে। অথচ রিশাদ, যিনি ম্যাচেই তিনটি ছক্কা মেরেছিলেন, তাকেই বসিয়ে রাখা হয়। দুই ম্যাচে তার স্ট্রাইকরেট ছিল অবিশ্বাস্য ২০০ ও ২৭৮.৫৭। তবুও তাকে সুযোগ দেওয়া হয়নি।
খেলা শেষে সংবাদ সম্মেলনে এই সিদ্ধান্তে অবাক হয়েছেন আকিল হোসেনও। তিনি বলেন, “সুপার ওভারে রিশাদকে না দেখে আমি সত্যিই অবাক হয়েছি। শুধু আমি না, আমাদের পুরো দলই অবাক। যে ব্যাটার আমাদের বিপক্ষে ১৪ বলে ৩৯ রান করল, তাকে বাদ দেওয়া কোনোভাবেই বোঝা যায় না।”
আকিলের মতে, রিশাদ এমন একজন খেলোয়াড়, যিনি যেকোনো সময় বড় শট খেলতে পারেন, বিশেষ করে এমন ধীরগতির পিচে। “তার ব্যাটিং দেখলে বোঝা যায়, সে বড় ছক্কা মারতে পারে। তবু তাকে বাদ দেওয়া হলো কেন এটা রহস্য,” বলেন আকিল।
সব মিলিয়ে ম্যাচ শেষে ভক্তদের মনেও একই প্রশ্ন কেন এমন সিদ্ধান্ত নিল বাংলাদেশ টিম ম্যানেজমেন্ট? সুপার ওভারে ভুল পরিকল্পনাই কি শেষ পর্যন্ত হারের কারণ? মাঠে ভালো লড়াই করেও শেষ পর্যন্ত বাংলাদেশ হেরে গেছে কৌশলে। ম্যাচের পর আলোচনায় তাই সিদ্ধান্তের প্রশ্নটাই বড় হয়ে উঠেছে।
ক্রিফোস্পোর্টস/২২অক্টোবর২৫/টিএ
