
মিরপুরের বোলিং সহায়হক উইকেটে অন্যান্য ব্যাটাররা সংগ্রাম করলেও রিশাদ হোসেন দেখাচ্ছেন ভিন্ন চিত্র। প্রথম ওয়ানডেতে শেষদিকে নেনে ১৩ বলে খেলেন ২৬ রানের দুর্দান্ত ক্যামিও। এবার দ্বিতীয় ওয়ানডেতে একই ঝড় দেখালেন রিশাদ। অন্যান্য ব্যাটাররা যেখানে পঞ্চাশের কাছাকাছি স্ট্রাইক রেটে ব্যাট করেছেন, সেখানে রিশাদ তিনশ’র কাছাকাছি স্ট্রাইকে ব্যাট করে দলকে দুইশোর্ধ্ব রানের পুঁজি এনে দিয়েছেন।
আজ মঙ্গলবার (২১ অক্টোবর) সিরিজের দ্বিতীয় ওয়ানডে আগে ব্যাট করতে নেমে ৫০ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে ২১৩ রান তুলেছে বাংলাদেশ। শেষদিকে ব্যাট করতে নেমে ১৪ বলে ৩৯ রানের বিধ্বংসী ইনিংস খেলেন রিশাদ। দুর্দান্ত এই ইনিংসে ৩টি চার ও ৩টি ছক্কার মার ছিল।
এদিন বাংলাদেশের হয়ে ব্যাট হাতে ফিফটির দেখা পাননি কেউ। ফিফটির কাছে গিয়ে আউট হয়ে যান সৌম্য সরকার। ৪৫ রান করেন এই ওপেনার। তবে তার স্ট্রাইকরেট ছিল পঞ্চাশের আশেপাশে। ৮৯ বলে ৩ চার ও ১ এক ছক্কায় এই রান করেন তিনি। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৩২ রান করে অপরাজিত ছিলেন মেহেদি হাসান মিরাজ। তার স্ট্রাইকরেটও ওয়ানডে সুলভ ছিল না। ৫৮ বলে ১ চারের মারে এই রান করেন বাংলাদেশ অধিনায়ক।
তবে নুরুল হাসান সোহান কিছুটা মারকুটে ভঙ্গিতে খেলার চেষ্টা করেও ইনিংস বড় করতে পারেননি। ২৪ বলে ২ চার ও ১ ছক্কায় ২৩ রান করে ফেরেন এই উইকেটরক্ষক ব্যাটার। এছাড়া মাহিদুল ইসলাম অঙ্কন ৩৫ বলে ১৭, নাজমুল হোসেন শান্ত ২১ বলে ১৫, নাসুম আহমেদ ২৬ বলে ১৪ এবং তাওহীদ হৃদয় ১৯ বলে ১২ রানের ইনিংস খেলেন।
ওয়েস্ট ইন্ডিজ দলে আজ কোনো পেসার রাখা হয়নি। পাঁচ স্পিনার মিলেই ৫০ ওভার বোলিং করেছেন। তাদের মধ্যে গুদাকেশ মোতি ১০ ওভারে ৬৫ রান দিয়ে ৩ উইকেট নেন। দ্বিতীয় ম্যাচের আগে দলে যুক্ত হওয়া আকিল হোসেন ১০ ওভারে ৪১ রান দিয়ে নেন ২ উইকেট। এছাড়া অ্যালিক অ্যাথেনজি ১০ ওভারে ৩ মেডেনসহ ১৪ রান দিয়ে ২ উইকেট নেন।
ক্রিফোস্পোর্টস/২১অক্টোবর২৫/বিটি
