
বাংলাদেশের ক্রিকেটের অন্যতম তারকা মনে করা হয় সাকিব আল হাসানকে। তবে ক্যারিয়ার জুড়ে ক্রিকেটীয় অর্জনের পাশাপাশি তিনি কুড়িয়েছেন বিভিন্ন সময় নানান সমালোচনা। তবে সর্বশেষ গেল বছরের ছাত্র-জনতার জুলাই অভ্যুত্থানে সমালোচনামূলক ভূমিকা পালন করায় তার বিরুদ্ধে ক্ষোভে ফুঁসে ওঠে দেশের তরুণ সমাজ।
সেই ঘটনার পর আর বাংলাদেশের মাটিতে ফেরা হয়নি সাকিবের। একটা পর্যায়ের পর হারিয়েছেন জাতীয় দলের জার্সিও। মিরপুরের মাঠে নিজের শেষ টেস্ট ম্যাচ খেলার ইচ্ছা প্রকাশ করলেও হয়নি সেটা। এবার জনপ্রিয় ক্রিকেটভিত্তিক ওয়েবসাইট ক্রিকবাজে সাক্ষাৎকারকালে সাকিব জানিয়েছেন, জুলাইয়ে ঠিক কেমন পরিস্থিতি ছিল বুঝতে পারেননি না তিনি।
জুলাইয়ের পরিস্থিতির অনুধাবন করতে না পারায় বিষয়টা তার বিপক্ষে চলে গেছে বলে জানান সাকিব, ‘এটা এমন এক মুহূর্ত যা আমার বিপক্ষে চলে গেছে। কারণ তারা (ভক্তরা) ভিন্ন কিছু প্রত্যাশা করছিল। আমি আবার ওরকম পরিস্থিতিতে ছিলাম না, অথবা আমি পরিস্থিতি জানতাম না সত্যি বলতে। তাই আমার জন্য কাজটা কঠিন ছিল, আমি বাড়ি থেকে অনেক দূরে ছিলাম। আমি মনে করি ঐ জিনিসটাই আমার বিপক্ষে গেছে।’
তারপর থেকে দেশে বেড়েছে সাকিবের নিন্দুকের সংখ্যা। এমনকি এই টাইগার অলরাউন্ডারের বিপক্ষে বিক্ষোভেও সরব হন অনেকে। তাদের চিন্তাভাবনা শ্রদ্ধার সঙ্গে দেখলেও বিষয়টি নিয়ে আফসোস না থাকার কথা জানান সাকিব, ‘তাদের দৃষ্টিকোণ থেকে ব্যাপারটা দেখে আমি একে পূর্ণ শ্রদ্ধাও জানাচ্ছি। তবে এজন্য কোনো আফসোস নেই। আমার মনে হয় ধীরে ধীরে মানুষ এখন এটা বুঝতে শুরু করেছে।’
সাক্ষাৎকারে সাকিব আরও বলেছেন, বাইরের মানুষ কী চিন্তা করে সেটা নয়, বরং তার কাছের মানুষজন কীভাবে দেখছে সেটাই মূখ্য, ‘মানুষের নিজস্ব ভাবনা থাকতেই পারে। তা নিয়ে আমার মাথাব্যথা নেই। কে কী ভাবলো তাতে আমার কিছু যায় আসে না কারণ আমার কাছে মুখ্য বিষয় হলো আমার কাছের মানুষেরা আমাকে নিয়ে কী ভাবছে। তারা কেউ এমন ভাবে বলে মনে হয় না।’
উল্লেখ্য, সাকিব আল হাসান ছিলেন গেল আওয়ামীলীগ সরকারের মনোনীত একজন এমপি। আন্দোলনের আগে থেকেই তিনি পরিবারসহ দেশের বাইরে। সেসময় কানাডায় এক ভক্তের সঙ্গে বাকবিতণ্ডায় ক্ষিপ্ত কণ্ঠে সাকিব জানতে চেয়েছিলেন সেই ভক্ত দেশের জন্য কী করেছেন! যেই ঘটনা ছড়িয়ে পড়তেই শুরু হয়েছিল সমালোচনা। এছাড়া দেশের ক্রান্তি লগ্নে পরিবারের সঙ্গে ভালো সময়ের ছবি পোস্ট করায় আরও বেশী বয়েছিল নিন্দার ঝড়।
ক্রিফোস্পোর্টস/২৩অক্টোবর২৫/এফএএস
