
বাংলাদেশ ক্রিকেট দলে রিশাদ হোসেনের আবির্ভাব পূরণ করেছে লেগস্পিনারের দীর্ঘদিনের অভাব। তার লেগস্পিন দিয়ে খুব অল্প সময়েই নিজেকে প্রমাণ করেছেন তিনি। বল হাতে ধারাবাহিক সাফল্যে ভক্তদের প্রশংসায় ভাসছেন রিশাদ।
ম্যাচ জয়ে একজন লেগস্পিনারের ভূমিকা কতটা গুরুত্বপূর্ণ হতে পারে, তা রিশাদের পারফরম্যান্স দেখলেই বোঝা যায়। বাংলাদেশ জাতীয় দলে এখন ওয়ানডে হোক বা টি–টোয়েন্টি—সব ফরম্যাটেই ভরসার নাম রিশাদ। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে সিরিজের প্রথম ম্যাচেই রিশাদের বোলিং তোপে নাজেহাল অবস্থা হয়েছিল প্রতিপক্ষের। রিশাদের কল্যাণে সিরিজের প্রথম ম্যাচে ৭৪ রানের জয় পায় বাংলাদেশ। ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ১৩৩ রানে অলআউট করার সেই ম্যাচে একাই ৬ উইকেট তুলে নেন রিশাদ এবং জেতেন ম্যাচসেরা পুরস্কার।
বাংলাদেশের হয়ে রিশাদের আন্তর্জাতিক যাত্রা খুব বেশি দিনের নয়। এখন পর্যন্ত তিনি বাংলাদেশের হয়ে ৫০টি ওয়ানডে ও ১২টি টি–টোয়েন্টি ম্যাচ খেলেছেন। দুই ফরম্যাটে ৬০ ইনিংস বোলিং করে তুলে নিয়েছেন ৭৭টি উইকেট। এই পরিসংখ্যানই প্রমাণ করে, বল হাতে রিশাদ ব্যাটসম্যানদের জন্য কতটা বিপজ্জনক।
সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচকে সামনে রেখে সংবাদ সম্মেলনে এসে রিশাদের ভূয়সী প্রশংসা করেছেন স্পিন বোলিং কোচ মুশতাক আহমেদ। রিশাদকে রশিদ খানের কাছাকাছি মানের বলে মন্তব্য করেছেন তিনি। রিশাদের প্রশংসায় মুশতাক বলেন, রিশাদের বোলিং ইদানীং অনেকটা রশিদের কাছাকাছি, তাই আমি চেয়েছি রশিদের সঙ্গে তার আলাপ করিয়ে দিতে। রিশাদের মতো তরুণদের জন্য রশিদ, আদিল রশিদ—ওদের সঙ্গে কথা বলা জরুরি। এখন সবাই আন্তর্জাতিকভাবে একে মূল্যায়ন করছে। ওদের পরামর্শ তাই রিশাদের জন্য খুব গুরুত্বপূর্ণ।
স্পিন সহায়ক উইকেট হলেও প্রথম ওয়ানডেতে ৬ উইকেট তুলে নেওয়া সহজ ছিল না, সেই বিষয়টি উল্লেখ করে মুশতাক বলেন, সেটা (৬ উইকেট নেওয়া) এত সহজ ছিল না। কখনও কখনও স্পিনারদের চাপের মুখে পড়তে হয়, কারণ সেরাটা দেওয়ার প্রত্যাশা থাকে। এমন পরিস্থিতিতে একজন স্পিনার বিচলিত হতেই পারেন।
ক্রিফোস্পোর্টস/২০অক্টোবর২৫/এনজি
