
নাজমুল হোসেন শান্তর অধীনে বাংলাদেশের ওয়ানডে দলে সাফল্য ধরা না দেওয়ায় চলতি বছর নেতৃত্ব দেওয়া হয়েছিল মেহেদি হাসান মিরাজকে। তবে তার অধীনেও সুবিধা করতে পারেছে না টাইগাররা। মিরাজের নেতৃত্বে একের পর এক ব্যর্থতার পর তার অধিনায়কত্ব নিয়েও উঠেছে প্রশ্ন।
গত বছরের ডিসেম্বরে ওয়েস্ট ইন্ডিজের মাটিতে শান্তর অনুপস্থিতিতে ওয়ানডে সিরিজে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন মিরাজ। ওই সিরিজে ৩-০ তে হোয়াইটওয়াশ হয়েছিল বাংলাদেশ। এরপর আনুষ্ঠানিকভাবে অধিনায়কত্ব পেয়ে শ্রীলঙ্কা সিরিজ দিয়ে দায়িত্ব শুরু হয় মিরাজের। সেই সিরিজেও ২-১ ব্যবধানে হেরেছিল টাইগাররা। তখন থেকেই সমালোচনা শুরু হয় মিরাজের অধিনায়জত্বের বিষয়টি নিয়ে।
সদ্য সমাপ্ত আফগানিস্তান সিরিজে আরো বাজেভাবে হেরেছে বাংলাদেশ। এনেকটা একপেশে লড়াইয়ে আফগানদের কাছে ওয়ানডেতে হোয়াইটওয়াশ হয়েছে লাল-সবুজের দল। এই ধবলধোলাইয়ের পর আরও বেশি সমালোচনার মুখোমুখি হয়েছেন মিরাজ, বিভিন্ন পয়েন্টে তার অধিনায়কত্ব নিয়ে উঠেছে প্রশ্ন।
তবে এখনই মিরাজের অধিনায়কত্ব নিয়ে বিচার করতে চান না জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক ও বিসিবির সাবেক নির্বাচক মিনহাজুল আবেদীন নান্নু। একটা-দুইটা সিরিজ দিয়ে মিরাজকে মূল্যায়ন করতে চান না তিনি। তাকে কমপক্ষে ৬-৭টা সিরিজে সময় দেয়ার পক্ষে সাবেক এই ক্রিকেটার।
নান্নু সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ‘একটা-দুইটা সিরিজ দিয়ে কোনো অধিনায়ককে মূল্যায়ন করা যাবে না। কমপক্ষে ৬-৭টা সিরিজ যদি না যায়, বেশি সময় যদি না দেওয়া হয়, একজন অধিনায়ক কীভাবে একটা দলকে চালাচ্ছে সেটা বুঝা যাবে না। তাই আমি মনে করি, একটা-দুইটা সিরিজে হবে না।’
এর আগে বয়সভিত্তিক দলে অনেকদিন অধিনায়কত্ব করেছেন মিরাজ। তাই জাতীয় দলে তাকে যোগ্য হিসেবেই দেখছেন বিসিবির এই হেড অব প্রোগ্রাম, ‘মিরাজের যথেষ্ট সামর্থ্য আছে। সে অনূর্ধ্ব-১৯ পর্যায়ে অধিনায়ক ছিল। সে যথেষ্ট ভালো ক্রিকেটার এবং তার মেধাও যথেষ্ট আছে। তাঁর কাছে অধিনায়কত্ব কঠিন কিছু না। যেভাবে দলকে পরিচালনা করছে, সে সামনে আরও অভিজ্ঞতা অর্জন করবে এবং আশাকরি ভালো কিছু করবে।’
গতকাল ওয়েস্ট ইন্ডিজকে হারিয়ে মিরাজের অধীনে দ্বিতীয় ওয়ানডে জয় পেয়েছে বাংলাদেশ। আগামী ২১ অক্টোবর সিরিজের দ্বিতীয় ওয়ানডেতে মুখোমুখি হবে দুই দল। এই ম্যাচে জয় পেলেই সিরিজ জিতবে লাল-সবুজের দল।
ক্রিফোস্পোর্টস/১৯অক্টোবর২৫/বিটি
