
আজ থেকে ঘরের মাঠে শুরু হতে যাচ্ছে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে বাংলাদেশের তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ। ওয়ানডে ফরমেটে নিজেদের ধারাবাহিক ব্যর্থতা থেকে ঘুরে দাঁড়াতে এবং ২০২৭ ওয়ানডে বিশ্বকাপে সরাসরি খেলার সুযোগ পেতে এই সিরিজ বেশ গুরুত্বপূর্ণ টাইগারদের জন্য। আর তাই বাংলাদেশকে তাদের হোম ভেন্যুতে একদম হালকা ভাবে নিতে নারাজ উইন্ডিজ প্রধান কোচ ড্যারেন স্যামি।
ওয়ানডে সিরিজ শুরু হওয়ার আগে গতকাল আনুষ্ঠানিক সংবাদ সম্মেলনে কথা বলেছেন উভয় দলের প্রতিনিধিরা। সাম্প্রতিক সময়ে টানা চার ওয়ানডে সিরিজে পরাজিত হয়েছে বাংলাদেশ। এর আগে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে তাদের মাটিতে খেলতে গিয়ে টি-টোয়েন্টি ফরমেটে ভালো করলেও ওয়ানডেতে হোয়াইটওয়াশ হয়ে ফিরেছিল টাইগাররা।
এমনকি সদ্য সমাপ্ত আফগানিস্তান সিরিজেও কোনও ম্যাচ জিততে পারেনি বাংলাদেশ। আর এতে নিজেদের আত্মবিশ্বাস তলানিতে থাকতে পারে টাইগারদের। তাই স্বাগতিক দলকে আন্ডারডগ ভাবছে কিনা প্রতিপক্ষ, সে প্রশ্ন উঠে এসেছিল সংবাদ সম্মেলনে। তবে ওয়েস্ট ইন্ডিজের প্রধান কোচ ড্যারেন স্যামি স্পষ্টভাবে জানিয়ে দিয়েছে বাংলাদেশকে তাদের ঘরের মাঠে হালকাভাবে দেখার সুযোগ নেই।
বাংলাদেশ আন্ডারডগ কিনা এভন প্রশ্নের জবাবে সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেছেন, ‘না। তারা হোমে খেলছে। নিজেদের কন্ডিশনে খেলা, যা বেশ ভালোভাবেই তারা চেনে। বাংলাদেশকে হালকাভাবে নেওয়ার কোনো সুযোগ নেই। হোম কন্ডিশনে তারা অনেক অনেক শক্ত দল। ফলে আমাদেরও সেভাবে ভালো ক্রিকেট খেলতে হবে, তাদের হারাতে হলে।’
নিজেদের ক্রিকেট খেলার ধরণ প্রসঙ্গে স্যামি বলেছেন, ‘আইডিয়া অব ওয়েস্ট ইন্ডিজ? আমার মনে হয় এটা হচ্ছে সবচেয়ে বেশি সফল ব্র্যান্ডের ক্রিকেট খেলা। যেন আমরা দাপট দেখাতে পারি। সব দলই নানা চক্রের মধ্য দিয়ে যায়। আমরাও এখন যাচ্ছি। আইডিয়া কখনওই ব্যর্থ হওয়া নয়। ফলে যেভাবে সফল হওয়া যায়, সেটা নিয়েই এখনের প্রজন্ম ভাবছে। আমরা নিজেদের নিয়ে আত্মবিশ্বাসী আছি।’
মিরপুরের উইকেট সম্পর্কে স্যামি বলেছেন, ‘ক্যাপ্টেন পিচ দেখেনি, আমি দেখেছি। এমন কিছু আসলে আগে দেখিনি আমরা। উপমহাদেশে আমরা আগেও খেলেছি যদিও। ভারত থেকে আসলাম। এটা একটা বাড়তি সুবিধা। বোলাররা জানে এখানের কন্ডিশন ভারতের কাছাকাছি। এই চ্যালেঞ্জের জন্য আমার দল অনেকটাই প্রস্তুত। কারণ আমার দলের অনেকেই ভারত থেকে খেলে এসেছে।’
উল্লেখ্য, আজ শনিবার (১৮ অক্টোবর) দুপুর দেড়টায় ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে তিন ম্যাচ ওয়ানডে সিরিজের প্রথমটিতে মিরপুর শের-ই বাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে মাঠে নামবে বাংলাদেশ ক্রিকেট দল। সিরিজের বাকি দুই ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে ২১ ও ২৩ অক্টোবর। এরপর চট্টগ্রামে খেলা হবে উইন্ডিজদের বিপক্ষে তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ।
ক্রিফোস্পোর্টস/১৮অক্টোবর২৫/এফএএস
