
ফিফা ফুটবল বিশ্বকাপের অন্যতম সফলতম দলগুলোর একটি হচ্ছে ইতালি। ব্রাজিলের (৫) পর জার্মানির সঙ্গে যৌথভাবে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ চারটি বিশ্বকাপ শিরোপা জিতেছে আজ্জুরিরা। এমনকি ২১ শতকেও একটি শিরোপা রয়েছে তাদের। তবে সেই ইতালি কিনা সবশেষ ২ বিশ্বকাপের মূল পর্বে জায়গা নিশ্চিত করতে পারেনি।
২০০৬ বিশ্বকাপের ফাইনালে ফ্রান্সকে হারিয়ে চতুর্থবারের মতো বিশ্বচ্যাম্পিয়ন হয়েছিল ইতালি। এরপর ২০১০ ও ২০১৪ সালে গ্রুপ পর্ব থেকেই বিদায় নেয় তারা। তবে ২০১৮ বিশ্বকাপের মূল পর্বে জায়গা নিশ্চিত করতে ব্যর্থ হয় ইতালি। তবে ২০২২ বিশ্বকাপের আগে দারুণ ছন্দে ছিল দলটি। ২০২১ সালে ইউরো চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল আজ্জুরিরা। তবে প্লে-অফে বিশ্বকাপের টিকিট নিশ্চিতের ম্যাচে নর্থ মেসিডোনিয়ার কাছে হেরে কাতার বিশ্বকাপে খেলার যোগ্যতা অর্জন করতে ব্যর্থ হয় দলটি।
পাঁচ বছর দায়িত্ব পালনের পর ২০২৩ সালে ইতালির দায়িত্ব ছাড়েন রবার্তো মানচিনি। তার জায়গায় আগস্টে দায়িত্ব নেনে লুসিয়ানো স্পালেত্তি। তবে তিনি দায়িত্ব নিয়েও তেমন সাফল্য এনে দিতে পারেননি। ইউরোপীয় অঞ্চলের বিশ্বকাপ বাছাইয়ে জুন উইন্ডোতে নরওয়ের কাছে ৩-০ গোলের ব্যবধানে হেরে যায় ইতালি। জুন উইন্ডো শেষে স্পালেত্তিকে বরখাস্ত করে ইতালি।
স্পালেত্তির জায়গায় গত জুনে দায়িত্ব পান ইতালির ২০০৬ বিশ্বকাপজয়ী দলের সদস্য জেনারো গাত্তুসো। সাবেক এই ফুটবলার কোচের দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকেই ঘুরে দাঁড়াতে শুরু করেছে ইতালিয়ান ফুটবল দল। গাত্তুসোর অধীনে বাছাইপর্বে সবশেষ চার ম্যাচেই জয় তুলে নিয়েছে ইতালি। তাতে আই-গ্রুপে শীর্ষ দুইয়ের মধ্যে জায়গা নিশ্চিত হয়ে গেছে দলটির।
ইতালির এই উন্নতিতদ নিজেকে কৃতিত্ব দিতে চান না গাত্তুসো। দল বিশ্বকাপ নিশ্চিত করতে পারলেই কৃতিত্ব নেবেন তিনি। তবে টানা তৃতীয়বারের মতো বিশ্বকাপের মূল পর্বে জায়গা নিশ্চিত না হলে দেশ ছেড়ে দূরে কোথাও চলে যাবেন বলে জানিয়েছেন এই কোচ। যদিও হাস্যরসের ছলেই এমনটা বলেছেন গাত্তুসো।
৪৭ বছর বয়সী এই কোচ বলেন, ‘যদি দলের সঙ্গে আমি আমার লক্ষ্য পূরণ করতে পারি, তবে কৃতিত্ব আমার। তবে যদি ব্যর্থ হই, তাহলে ইতালি ছেড়ে অনেক দূরে গিয়ে থাকব। আমি এখনই একটু দূরে আছি। সফল হতে না পারলে আরও দূরে চলে যাব।’
বাছাইপর্বে আই-গ্রুপ থেকে শীর্ষ দল সরাসরি বিশ্বকাপের টিকিট পাবে। ৬ ম্যাচে ১৮ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে অবস্থান করছেন নরওয়ে। সমান ম্যাচ খেলে ১৫ পয়েন্ট নিয়ে দুইয়ে অবস্থান করছে ইতালি। শেষ দুই ম্যাচে ইতালির প্রতিপক্ষ নরওয়ে ও মালদোভা। গ্রুপের শীর্ষে ওঠার জন্য পরবর্তী দুই ম্যাচেই জয় পেতে হবে ইতালিকে। একইসঙ্গে নরওয়েকেও ড্র কিংবা হারতে হবে। তবেই সরাসরি বিশ্বকাপের টিকিট পাবে ইতালি।
তবে নরওয়ে শেষ দুই ম্যাচে ১ পয়েন্টের বেশি পেলে নরওয়ের সরাসরি বিশ্বকাপে খেলার সম্ভাবনাই বেশি। কেননা তারা গোল ব্যবধানে (+২৬) ইতালির (+১০) চেয়ে অনেক এগিয়ে. এ কারণে বাছাইয়ের খেলা শেষে পয়েন্ট সমান হলেও গোল ব্যবধানে এগিয়ে থেকে বিশ্বকাপ নিশ্চিত করবে নরওয়ে সেক্ষেত্রে প্লে-অফ খেলে বিশ্বকাপে জায়গা নিশ্চিত করতে হবে ইতালিকে।
ক্রিফোস্পোর্টস/১৬অক্টোবর২৫/বিটি
