
লিওনেল মেসি, নেইমার ও আন্দ্রেস ইনিয়েস্তা- এই তিনটি নাম ফুটবল ইতিহাসে লেখা হয়েছে স্বর্ণাক্ষরে। খেলার মাঠে পারফরম্যান্স দিয়ে জয় করে নিয়েছেন কোটি ভক্তের মন। তিন তারকার নামে ব্রাজিলের সিয়ারা যুবা একাডেমিতে বেড়ে উঠছে তিন কিশোর ফুটবলার। নামকরণের পেছনে রয়েছে আশ্চর্যজনক গল্প।
সের্জিও মেসকুইটা সিয়ারা একাডেমিতে আবিষ্কার করেন কিশোর ইনিয়েস্তা ও মেসিকে। নেইমার উঠে আসে সিয়ারা একাডেমির একজন রিক্রুটারের হাত ধরে। কিশোর মেসি ও ইনিয়েস্তা ট্যাকটিক্যাল ও টেকনিক্যাল দক্ষতা এবং মাঠের পারফরম্যান্স দিয়ে আকৃষ্ট করেছিল সের্জিও মেসকুইটাকে। কিন্তু এই তিন তারকার নামে সন্তানদের নাম রাখলেন কেন তাদের বাবা-মা? সন্তানদের নামকরণের পেছনে রয়েছে মজার কিছু কারণ।
কিশোর মেসির মা লিসিয়ানে মায়েরি বলেন, আমি গর্ভবতী অবস্থায় ফুটবল খেলছিলাম। তখনই ঠিক করলাম— অনাগত সন্তানের নাম রাখব লিওনেল মেসি। অবশ্য এটা ভাবিনি যে, আমার অনাগত সন্তান ফুটবলে নিজের ক্যারিয়ার গড়তে চাইবে কিনা। আজ সে সিয়ারায় খেলছে, স্বপ্ন পূরণের পথে আছে।
এদিকে কিশোর নেইমারের বাবা প্রথমে অন্য নাম রাখতে চেয়েছিলেন ছেলের। তবে পরে সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করে ছেলের নাম রাখেন নেইমার। ক্ষুদে নেইমারের বাবা নেইমার কুনহা বলেন, ‘আমাদের স্বপ্ন হলো ছেলেকে পেশাদার ফুটবলার হিসেবে গড়ে তোলা। এটি আমাদের পরিবারকে উন্নতির পথ দেখাবে। কঠোর পরিশ্রমের মাধ্যমে আমরা প্রতিদিন আরও উন্নতি করব।’
কিশোর ইনিয়েস্তার বাবা আন্দ্রেস ইনিয়েস্তার খেলায় মুগ্ধ হয়ে ছেলের নাম রাখেন। বাবা অ্যালান ভিয়েরা বলেন, ‘আমরা ইনিয়েস্তার নাম দিয়েছি কারণ তিনি মাঠে অসাধারণ। তার কাছ থেকে মেসি ও ড্যানিয়েল আলভেসের মতো খেলোয়াড়েরা অনুপ্রেরণা পেয়েছে।’
আন্তর্জাতিক ফুটবল থেকে তারা এখনো অনেক দূরে। তবে ইতিমধ্যে প্রমাণ রেখেছে সাহসিকতার। স্বপ্ন দেখছে দেশের হয়ে প্রতিনিধিত্ব করার। তাদের নিয়ে স্বপ্ন দেখছেন ব্রাজিলের হাজারো মানুষ। বড় স্বপ্ন নিয়ে ইনিয়েস্তা বলেছেন, ‘আমার স্বপ্ন হলো ব্রাজিলের জাতীয় দলে খেলা এবং বিশ্বকাপ জয়।’
ক্রিফোস্পোর্টস/১৪অক্টোবর২৫/এনজি
