
এশিয়া কাপের ফাইনালে খেললেও প্রত্যাশা পূরণে ব্যর্থ পাকিস্তান। চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ভারতের সাথে এশিয়া কাপে মোট ৩ বারের দেখায় ৩ বারই হেরেছে দলটি। এছাড়াও প্রতি ম্যাচে তাদের ব্যাটিং ব্যর্থতা ছিল চোখে পড়ার মতো।
এশিয়া কাপের মতো বৈশ্বিক টুর্নামেন্টে এমন হতাশাজনক পারফরম্যান্সের পর বড় পরিবর্তনের ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে পাকিস্তান ক্রিকেটে। পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যম সামা টিভির মতে, দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে আসন্ন ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি সিরিজের দল চূড়ান্ত করতে ইতিমধ্যে বৈঠকে বসেছে নির্বাচক কমিটি, প্রধান কোচ ও অধিনায়ক।
চলতি বছরে টি-টোয়েন্টি দলে দেখা যায়নি বাবর আজমকে। বাবরের অনুপস্থিতিতে পাকিস্তান দলে দেখা গেছে এক বড় শূন্যতা। এশিয়া কাপেও বাদ দেওয়া হয় সাবেক এই অধিনায়ককে। সামা টিভির মতে, টি-টোয়েন্টি দলে ফিরতে পারেন বাবর।
তবে বাবরের ফেরা খুব সহজ হবে না। কেননা তাকে ফেরানো নিয়ে নির্বাচকদের মাঝে রয়েছে মতভেদ। কেউ কেউ মনে করছেন, এত দ্রুত তাঁকে ফিরিয়ে আনা ঠিক হবে না। শেষ পর্যন্ত বাবরের বিষয়টি অমিমাংসিত রয়ে গেছে।
সামা টিভির সূত্র বলছে, খেলোয়াড়দের সাম্প্রতিক ফর্ম ও দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা মাথায় রেখে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি দলে ৩-৪ টি পরিবর্তন হতে পারে। নির্বাচকেরা চান, অভিজ্ঞতা আর নতুনদের মিলে একটি ভারসাম্যপূর্ণ দল গঠন করতে চায় তারা।
সামা টিভি তাদের প্রতিবেদনে লিখেছে, বৈঠকে টি-টোয়েন্টি অধিনায়ক সালমান আলী আগার পারফরম্যান্সও খতিয়ে দেখা হয়েছে। টি-টোয়েন্টি দলে নেতৃত্বে পরিবর্তন বা কৌশলগত সমন্বয় আনার বিষয়টি বিবেচনা করছে টিম ম্যানেজমেন্ট।
টি-টোয়েন্টির পাশাপাশি ওয়ানডে দলেও সংস্কার করতে চান নির্বাচকরা। ওয়ানডে দলের অধিনায়ক এবং স্কোয়াডও নিয়েও হয়েছে আলোচনা। সব মিলিয়ে ক্রিকেটে বড় ধরনের সংস্কারের পথে আগাচ্ছে পাকিস্তান। এই সংস্কারের কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছে দলের অধিনায়কত্ব এবং বাবরের প্রত্যাবর্তন।
ক্রিফোস্পোর্টস/৮অক্টোবর২৫/এআই
