
১৭৮ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শুরু থেকেই ইংল্যান্ডকে চাপে রাখে বাংলাদেশ নারী ক্রিকেট দল। মাত্র ৭৮ রানে ৫ উইকেট হারায় ইংল্যান্ড। তবে হিদার নাইটের ৭৯ রানের অপরাজিত ইনিংস শেষ পর্যন্ত জয়ের মুখ দেখায় ইংল্যান্ডকে।
গতকাল (৭ অক্টোবর) বিশ্বকাপের দ্বিতীয় ম্যাচে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে মাঠে নামে বাংলাদেশ নারী দল। প্রথমে ব্যাটিংয়ে নেমে ১৭৮ রানের লক্ষ্য দাঁড় করায় তারা। লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শুরু থেকেই বিপাকে পড়ে ইংলিশরা। ৭৮ রানে ৫ উইকেট ও ১০৩ রানে ৬ উইকেট হারিয়ে তারা পুরোপুরি চাপে পড়ে যায়। এরপরই শুরু হয় নাইটের আগ্রাসী ব্যাটিং। ৭৯ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলে বাংলাদেশকে হতাশ করেন তিনি। নাইট আউট হলে ম্যাচের ফল অন্যরকম হতে পারত।
ম্যাচ শেষে বাংলাদেশের লেগ স্পিনার ফাহিমা খাতুন বলেন, “(হিদার নাইটের) ওই উইকেটটা কত গুরুত্বপূর্ণ ছিল, তা আমরা সবাই জানি। সিদ্ধান্তটি আমাদের পক্ষে এলে ম্যাচের ফল ভিন্ন হতে পারত।
তবে নাইটের একটি ক্যাচ নিয়েই তৈরি হয় মূল বিতর্ক। টিভি আম্পায়ার ভারতের গায়ত্রী ভেণুগোপালন অকাট্য প্রমাণ না পাওয়ায় নাইটকে আউট দেননি। তবে নাইট নিজেও মনে করেছিলেন সেটি আউট ছিল। ম্যাচ শেষে তিনি বলেন, প্রথমে ভেবেছিলাম এটা আউট ছিল। ভেবেছিলাম বলটা ওপরে ছিল এবং ক্যাচটা ন্যায্য, তাই চলে যাচ্ছিলাম। কিন্তু টিভি আম্পায়ার অন্য সিদ্ধান্ত দেন। অবশ্যই একটু ভাগ্যের সহায়তাও পেয়েছি।
ম্যাচটিতে তিনবার আউট থেকে বেঁচে যান হিদার নাইট। প্রথম বলেই আউটের আবেদন উঠেছিল, কিন্তু টিভি আম্পায়ারের সিদ্ধান্তে বেঁচে যান তিনি। সপ্তম ওভারে মারুফার বলে একই ঘটনা ঘটে—মাঠ আম্পায়ার আউট দিলেও রিভিউ নিয়ে টিভি আম্পায়ারের সিদ্ধান্তে রক্ষা পান নাইট।
এরপর ম্যাচের ১৫তম ওভারে ফাহিমার বলে স্বর্ণার হাতে ক্যাচ তুলে দেন তিনি। আউট ভেবে নাইট নিজেই মাঠ ছাড়তে যাচ্ছিলেন, তবে মাঠ আম্পায়ার টিভি আম্পায়ারের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। রিপ্লে দেখে টিভি আম্পায়ার মনে করেন, স্বর্ণার আঙুল পুরোপুরি বলের নিচে ছিল না। ফলে সিদ্ধান্ত হয় নট আউট। এরপর আর পেছনে তাকাতে হয়নি নাইটকে—২৩ বল হাতে রেখেই ম্যাচ জিতে নেয় ইংল্যান্ড।
ম্যাচ শেষে ফাহিমা বলেন, আমাদের জন্য সিদ্ধান্তটা হতাশার। দলের সব খেলোয়াড়েরই মনে হয়েছে এটা পরিষ্কার আউট। কিন্তু আউট দেওয়ার পরও সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করা হয়, যেটা হতাশার।
ক্রিফোস্পোর্টস/৮অক্টোবর২৫/এনজি
