
লম্বা সময় ধরে জাতীয় দলের বাইরে রয়েছেন টাইগার অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান। দেশের মাটিতে ক্রিকেট থেকে অবসর নেওয়ার ইচ্ছা পোষণ করলেও সম্ভব হয়নি তেমনটা। এখন পর্যন্ত খেলতে ভালো লাগার কথা জানিয়েছেন তিনি। তবে খেলা ছেড়ে দিলে আর ক্রিকেটের সঙ্গে না থাকার ইচ্ছাও প্রকাশ করেছেন সাকিব।
গেল বছর ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে শেখ হাসিনা সরকারের পতন ঘটার আগে থেকেই দেশের বাইরে অবস্থান করছিলেন এই ক্রিকেটার। যার পর থেকে আর সুযোগ পাননি লাল-সবুজের মাটিতে ফেরার। এবার জানালেন দেশে ফিরতে না পেরে মন খারাপের কথা। সম্প্রতি দৈনিক সমকালকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এসব জানান সাকিব।
বাংলাদেশের ফিরতে না পারার অনুভূতি জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘নিজের দেশে যেতে না পারলে তো খারাপ লাগেই। এটা খুবই স্বাভাবিক একটা ব্যাপার। আসলে যখন যে পরিস্থিতি আসে, ওটার সঙ্গে মানিয়ে নেওয়া উত্তম। আমি সেভাবেই চলছি।’
জাতীয় দলের কেন্দ্রীয় চুক্তিতে না থাকা এই ক্রিকেটারের কেবল ফ্রাঞ্চাইজি লিগে খেলে পর্যাপ্ত আয় হচ্ছে কিনা সে বিষয়ে প্রশ্নের জবাবে সাকিব জানান, ‘এত কিছু আসলে চিন্তা করে দেখিনি। এখনও খেলতে ভালো লাগছে, তাই খেলে যাচ্ছি।’
যখন খেলা ছাড়বেন তারপর কোচিং বা ক্রিকেট পরামর্শক হিসেবে কাজ করতে চান কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে সাকিব বলেছেন, ‘জানি না। খেলা ছাড়ার পরে ক্রিকেটের সঙ্গে থাকার ইচ্ছা খুবই কম। বাকিটা পরে দেখব কী করব, না করব।’
ক্রিকেটীয় ব্যস্ততার পেছনে ফেলে পরিবারের সঙ্গে বর্তমানে সময় কাটানো প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘এখন অনেক সময় পরিবারের সঙ্গে থাকা হচ্ছে। আমার জন্য অনেক ভালো। বাচ্চাদের জন্য খুবই ভালো। কারণ, ওরা অনেকটা লম্বা সময় আমার সঙ্গে থাকতে পারেনি। আমিও ওদের সঙ্গে থাকতে পারিনি। সেই জায়গা থেকে এখন অনেক সময় থাকতে পারছি। পরিবারের এই সঙ্গ অনেক উপভোগ করি।’
বাংলাদেশের খেলা এখন সরাসরি দেখতে না পারার কোন আফসোস আছে কিনা সে বিষয়ে সাকিব জানান, ‘না, ও রকম না। অনেক দিন খেলেছি। বছরের পর বছর দলের সঙ্গেই তো ছিলাম। এত খেলার পর মিস করার বিষয় নেই আসলে। সময় থাকলে টিভিতে বা ইউটিউবে খেলা দেখি। সময় না থাকলে পরে স্কোর দেখা হয়, হাইলাইটস দেখি।’
এশিয়া কাপে বাংলাদেশের খেলা দেখার কথাও জানিয়েছেন সাকিব। যেখানে টুর্নামেন্টের শেষ দুই ম্যাচে লিটন কুমার দাসকে হারিয়ে দলে প্রভাব পড়ার কথাও উল্লেখ করেছেন তিনি। লম্বা সময় যাবত জাতীয় দলের বাইরে থাকা এই ক্রিকেটার ভবিষ্যতে আর দেশের জার্সিতে খেলতে পারছেন না এমনটাই ধরে নেওয়া হচ্ছে। তবে আর কতদিন ঘরোয়া ক্রিকেট খেলবেন একটা সময় নির্ধারণ করে দেবে।
ক্রিফোস্পোর্টস/২অক্টোবর২৫/এফএএস
