
গতকাল রাত ৯টার দিকে সাকিব আল হাসান ফেসবুকে গত বছর গণঅভ্যুত্থানের পর পলাতক সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে ছবি পোস্ট করে বলেন, ‘শুভ জন্মদিন, আপা।’ রাত ১০টার দিকে ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ তাঁর ফেসবুকে স্ট্যাটাসে বলেন, ‘একজনকে পুনর্বাসন না করায় সহস্র গালি দিয়েছেন আপনারা আমাকে। বাট আই ওয়াজ রাইট। এন্ড অব দ্য ডিসকাশন।’
আবার রাত ১১টা ২০ মিনিটের দিকে সাকিব ফেসবুকে লিখেছেন, ‘যাক শেষমেশ কেউ একজন স্বীকার করে নিলেন যে তাঁর জন্য আমার আর বাংলাদেশের জার্সি গায়ে দেওয়া হলো না, বাংলাদেশের জন্য খেলতে পারলাম না।ফিরব হয়তো কোনো দিন আপন মাতৃভূমিতে, ভালোবাসি বাংলাদেশ।’
দুজনই ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়েছেন। কারও নাম উল্লেখ করেননি। তবে কে কাকে ইঙ্গিত করে কথা বলছেন, সেটা বোধ হয় বুঝতে কারোই সমস্যা হয়নি।
গত বছর ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে শেখ হাসিনা সরকারের পতনের সময় সাকিব ছিলেন কানাডায়। এরপর আর দেশে ফিরতে পারেননি নৌকা প্রতীকে দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে সংসদ সদস্য হওয়া সাকিব। সাকিবের নামে হত্যা মামলা হয়েছে, তাঁর বিরুদ্ধে শেয়ার কেলেঙ্কারির অভিযোগ আছে, আছে দুদকের মামলা।
গণঅভ্যুত্থানের পর পাকিস্তান ও ভারতে অনুষ্ঠিত টেস্ট সিরিজে খেললেও দেশে ফিরতে না পারায় সাকিব এখন জাতীয় দলের বাইরে। গত বছরের অক্টোবরে দেশে এসে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ক্যারিয়ারের শেষ টেস্ট খেলতে চান সাকিব। তবে দলের সঙ্গে যোগ দেওয়ার জন্য দুবাই হয়ে দেশের পথে থাকা সাকিব ঢাকায় সরকারের কাছ থেকে সবুজ সংকেত না পেয়ে মাঝপথ থেকেই যুক্তরাষ্ট্রে ফিরে যান।
ধারণা করা হয়েছিল, সাকিব যাতে দেশে ফিরতে না পারেন, তার পেছনে বড় ভূমিকা ছিল ক্রীড়া উপদেষ্টার। সেই ধারণা আজ স্পষ্ট হলো ক্রিয়া উপদেষ্টার ফেসবুক পোস্টে।
ক্রিফোস্পোর্টস/২৯সেপ্টেম্বর২৫/এআই
