
কদিন আগেই গ্রুপপর্বে যে শ্রীলঙ্কার কাছে হেরে মাথানিচু করে মাঠ ছেড়েছিল বাংলাদেশ। আজ যেন তার উল্টো চিত্র। শুধু উল্টো বললে ভুল হবে, একেবারে বিপরীত দৃশ্যপট। আবুধাবির মলিন মুখ আজ দুবাইয়ে এসে জ্বলজ্বলে হয়ে উঠলো। শ্রীলঙ্কাকে হারিয়ে সুপার ফোরে সুপার স্টার্টই করলো টাইগাররা।
শনিবার মধ্যরাতে মধ্যপ্রাচ্যের জনপ্রিয় শহর দুবাইয়ে বাংলাদেশি প্রবাসীরা লিটনদের এই জয়ে মেতে ওঠেন উল্লাসে। আগে ব্যাটিং করে বাংলাদেশকে ১৬৯ রানের লক্ষ্য ছুড়ে দিয়েছিল লঙ্কানরা। এই ম্যাচেও বল হাতে নেপথ্য ভূমিকা পালন করেন মুস্তাফিজ। বাকিদের ইকনোমি রেট ৯ এর উপরে থাকলেও তার ইকনোমি ছিল ছয়ের নিচে।
৪ ওভার বোলিং করে ২০ রান খরচ করে ফিজ তুলে নেন গুরুত্বপূর্ণ তিনটি উইকেট। তার সাথে সাথে শেখ মাহেদিও শিকার করেন দুটি উইকেট। তবে রান খরচ করেন মুস্তাফিজের চেয়ে কিছুটা বেশি। তাসকিন দেন ৩৭ রান আর নাসুম দেন ৩৬। আরেক পেসার শরিফুল তো ১ রানের জন্য রান দেয়ার ফিফটি ছুতে পারেননি।

মুস্তাফিজের বোলিংয়ের পর সাইফ-হৃদয়ের দারুণ জুটি। ছবি- ক্রিকইনফো
১৬৯ রানের লক্ষ্যমাত্রা মানে বাংলাদেশের জন্য বিশাল। টি–টোয়েন্টি এর চেয়ে বড় লক্ষ্য ছুঁয়ে বাংলাদেশ জিতেছে মাত্র দুটি ম্যাচ। ২০১৮ সালে নিদাহাস ট্রফিতে এই শ্রীলঙ্কার বিপক্ষেই সর্বোচ্চ ২১৫ রানের লক্ষ্য ছুঁয়ে জিতেছিল বাংলাদেশ।
এই ম্যাচে ব্যাট হাতে নায়কের ভূমিকায় ছিলেন ওপেনার সাইফ হাসান ও টু ডাউনে নামা তাওহীদ হৃদয়। ওপেনার তানজিদ দলকে ১ রানে রেখে ব্যক্তিগত শূন্য রানে ফিরলে অধিনায়ক লিটন দাসকে নিয়ে ৫৯ রানের জুটি গড়েন সাইফ হাসান। সাকিবের রেকর্ড ভেঙে আন্তর্জাতিক টি–টোয়েন্টিতে বাংলাদেশের হয়ে সবচেয়ে বেশি রানের রেকর্ড গড়ে লিটন ফিরে যান।

সুযোগ পেয়ে সামর্থ্যের পুরোটাই দিচ্ছেন সাইফ। ছবি- এসিসি
এরপর তাওহিদ হৃদয়কে নিয়ে ৫৪ রান যোগ করেন সাইফ হাসান। বাংলাদেশের জার্সিতে টি–টোয়েন্টিতে দ্বিতীয় ফিফটি করা সাইফ ফিরেছেন ৪৫ বলে ৬১ রান করে। সেখান থেকে শামীম হোসেনকে নিয়ে ২৭ বলে ৪৫ রান যোগ করে শ্রীলঙ্কাকে ম্যাচ থেকে ছিটকে দেন হৃদয়। ১৯তম ওভারে জয় থেকে ১০ রান দূরে থাকতে ৩৭ বলে ৫৮ রান করে আউট হন হৃদয়।

৩৭ বলে ৫৮ রানের ইনিংস খেলেন তাওহীদ হৃদয়। ছবি- ক্রিকইনফো
যদিও শেষের ওভারে হঠাৎ নাটকীয়তা আসে। ৬ বলে ৫ রান দরকার। শানাকার ওভারের প্রথম বলে ৪ মারলে বাকি থাকে ১ রান। এই রান ওঠাতে গিয়ে দুই ব্যাটারকে ফিরতে হয় সাজঘরে। দ্বিতীয় বলে বোল্ড জাকের। তৃতীয় বল ডট। চতুর্থ বলটি উইকেটকিপারকে ক্যাচ দিলেন মাহেদী।
অন্য প্রান্তে তখন শামীম হোসেন রাগে কাঁপছিলেন। পরের বলটায় নতুন ব্যাটসম্যান নাসুম আহমেদ শর্ট থার্ডম্যানে পাঠিয়েই ১ রান নিয়ে দলকে জিতিয়ে দিলেন। তখনও ১ বল ও ৪ উইকেট বাকি। জয়ে সুপার ফোর শুরু করা বাংলাদেশের দ্বিতীয় ম্যাচ ভারতের বিরুদ্ধে আগামী
২৪ সেপ্টেম্বর।
ক্রিফোস্পোর্টস/২১সেপ্টেম্বর২৫/এজে
