
২০২২ সালে প্রথমবারের মতো নারী ওয়ানডে বিশ্বকাপে খেলার যোগ্যতা অর্জন করেছিলে বাংলাদেশ। চলতি বছর মাঠে গড়াতে যাচ্ছে নারী ওয়ানডে বিশ্বকাপের ১৩তম আসর। আসন্ন এই টুর্নামেন্টে দ্বিতীয়বারের মতো অংশ নিতে যাচ্ছে টাইগ্রেসরা।
২০২২ নারী বিশ্বকাপে প্রথমবার অংশ নিয়ে বড় কোনো সাফল্য পায়নি বাংলাদেশ। সে আসলে একটি জয় পেয়েছিল টাইগ্রেসরা। জয়টা এসেছিল পাকিস্তানের বিপক্ষে। এবার সেই পাকিস্তানের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়েই বিশ্বকাপ মিশন শুরু করবে লাল-সবুজের দল।
আজ (১৯ সেপ্টেম্বর) আইসিসির প্রকাশিত কলামে ওয়ানডে বিশ্বকাপে নিজেদের লক্ষ্য ও প্রত্যাশার কথা জানিয়েছেন বাংলাদেশ নারী ক্রিকেট দলের অধিনায়ক নিগার সুলতানা জ্যোতি। গত আসরে বড় সাফল্য না পেলেও এবারের আসরটা স্মরণীয় করে রাখতে চান তারা।
জ্যোতি বলেন, ‘আমরা আমাদের দ্বিতীয় আইসিসি নারী ওয়ানডে বিশ্বকাপ খেলার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছি। এবারের আসরটা বেশ দুর্দান্ত হবে। এই টুর্নামেন্টটা নিয়ে আমরা ভীষণ উচ্ছ্বসিত ও আশাবাদী। আমরা চাই, এবারের আসরের যেন স্মরণীয় কিছু করতে পারি।’
প্রথমবার বিশ্বকাপে অংশ নেয়া এবং প্রথম জয়ের স্মৃতিচারণ করে জ্যোতি বলেন, ‘তিন বছর আগে নিউজিল্যান্ডের মাটিতে আমরা আমাদের প্রথম বিশ্বকাপ খেলার স্বাদ পেয়েছিলাম। গতবার আমরা ইতিহাস গড়েছিলাম— পাকিস্তানকে হারিয়ে বিশ্বকাপে আমাদের প্রথম জয় তুলে নিয়েছিলাম। সেই মুহূর্তটা আমি কোনোদিন ভুলব না।’
বাংলাদেশ দলের অন্যতম একটি শক্তির জায়গা স্পিন আক্রমণ। অতীতে স্পিনাররা অনেক সাফল্য এনে দিয়েছেন। এবারও স্পিনারদের ওপর আস্থা রাখছেন জ্যোতি।
তিনি বলেন, ‘আমাদের সাফল্যের বড় অংশজুড়ে ছিল স্পিনারদের অবদান। আমি আশা করি এবারও ভারতে ও শ্রীলঙ্কায় তারা পাকিস্তানের মতোই সাফল্য দেখাবে। আমাদের শীর্ষ উইকেটশিকারিনাহিদা আক্তার। সে ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি উভয় ফরম্যাটেই শীর্ষে। সে আমাদের দলের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ একজন খেলোয়াড়।’
আগামী ৩০ সেপ্টেম্বর পর্দা উঠবে নারী ওয়ানডে বিশ্বকাপের। এরপর ২ অক্টোবর কলম্বোয় পাকিস্তানের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে বিশ্বকাপ অভিযান শুরু করবে জ্যোতি-নাহিদারা।
ক্রিফোস্পোর্টস/১৯সেপ্টেম্বর২৫/বিটি
