
এশিয়া কাপের দ্বিতীয় ম্যাচে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে বাজেভাবে হেরেছে বাংলাদেশ। আবুধাবিতে আগে ব্যাট করতে নেমে লঙ্কান বোলারদের সামনে দাঁড়াতেই পারেনি টাইগার ব্যাটাররা। পরবর্তীতে বোলিংয়েও নেমে সুবিধা করতে পারেনি বাংলাদেশ। যার ফলে সঙ্গী হয় বড় ব্যবধানের হার।
শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে আগে ব্যাট করতে নেমে ৫৩ রানেই ৫ উইকেট হারিয়েছিল বাংলাদেশ। পরবর্তীতে শামীম হোসেন ও জাকের আলী মিলে ৮৬ রানের জুটি করে বাংলাদেশকে লড়াইয়ের পুঁজি এনে দেন। তবে তাদের স্ট্রাইকরেট টি-টোয়েন্টি সুলভ ছিল না। দুজনের স্ট্রাইক রেটই ছিল ১২০ থেকে ১২৫ এর মধ্যে। আর লিটনের স্ট্রাইকরেট ছিল ১১০ এর নিচে।
এমন স্ট্রাইকরেটের জন্য ম্যাচশেষে বাতাসকে দুষেন। তিনি বলেন, ‘এই ম্যাচে বাতাস একটা ফ্যাক্টর ছিল। বাতাসের কারণে দুই সাইডে মারা যায় না। তাই এক পাশে গ্রাউন্ডে খেলতে হয়েছে।’
কিন্তু একই কন্ডিশনে শ্রীলঙ্কা ১৪০ রান তাড়া করতে নেমে ৩২ বল হাতে রেখেই জয় তুলে নেয়। তাদের হয়ে চল্লিশোর্ধ্ব রানের ইনিংস খেলেন পাথুম নিসাঙ্কা ও কামিল মিশরা। দুজনের স্ট্রাইকরেটই ছিল ১৪০ এর উপরে। আর কারণেই জাকেরের এমন অজুহাতকে প্রশ্নবিদ্ধ করেছেন বাংলাদেশের সাবেক ক্রিকেটার ও নির্বাচক মিনহাজুল আবেদীন নান্নু।
নান্নু বলেন, ‘একই কন্ডিশনে শ্রীলঙ্কা ব্যাটাররাও খেলেছে, তারা পারলে আমরা কেন নয়?’ তিনি আরও বলেন, ‘এমন অজুহাত আমি তো কখনো শুনিনি। একই কন্ডিশনে শ্রীলঙ্কা ব্যাট করেছে, ওরা নিজেদের মানিয়ে নিয়েছে। মাঠে গিয়ে এক-দুই ওভার খেললেই কন্ডিশন সম্পর্কে ধারণা পাওয়া যায়, বোঝা যায় কখন, কোথায়, কীভাবে শট খেলতে হবে। ব্যাটারের দায়িত্বই এটা।’
বাংলাদেশের এখনো একটি ম্যাচ বাকি আছে আফগানিস্তানের বিপক্ষে। বিভিন্ন সমীকরণ মিলিয়ে এখনো টাইগারদের পক্ষে সেমিতে ওঠা সম্ভব। এ প্রসঙ্গে নান্নু বলেন, ‘সুযোগ একদম চলে যায়নি, এখনো সুযোগ আছে। আফগানিস্তানের সঙ্গে ম্যাচ আছে। সেখানে যদি আমরা ভালো কিছু করতে পারি, তাহলে সুপার ফোরে যাওয়ার একটা সুযোগ থাকবে।’
বি-গ্রুপে বাংলাদেশ,শ্রীলঙ্কা ও আফগানিস্তান একটি করে জয় তুলে নিয়েছে। তবে নেট রানরেটে এগিয়ে আফগানিস্তান। তাই টেবিলের শীর্ষে অবস্থান করছে তারা। আর দুইয়ে আছে শ্রীলঙ্কা। তাই সুপার ফোরের দৌড়ে টিকে থাকতে হলে নিজেদের শেষ ম্যাচে আফগানিস্তানকে হারাতেই হবে বাংলাদেশকে। একইসঙ্গে শ্রীলঙ্কার বাকি দুই ম্যাচের ফলাফলের দিকেও তাকিয়ে থাকতে হবে।
ক্রিফোস্পোর্টস/১৪সেপ্টেম্বর২৫/বিটি
