
এশিয়া কাপের দ্বিতীয় ম্যাচে আজ (শনিবার) শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে যেন দেখা গেল এক অন্য বাংলাদেশ দলকে। আগে ব্যাট করতে নেমে এলোমেলো টাইগারদের ব্যাটিং লাইনআপ। লঙ্কান বোলারদের সামনে যেন কোনো সূত্রই খুঁজে পাচ্ছিলেন না টাইগার ব্যাটাররা। ফলে বড় ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়ে লিটন দাসের দল।
শুরুর ব্যাটিং বিপর্যয়ের পর প্রতিরোধ গড়ার চেষ্টা করেছিলেন লিটন। তবে দলীয় ফিফটি রানের পর ফিরে যান তিনিও। পরবর্তীতে দলের ‘ক্রাইসিস ম্যান’—খ্যাত জাকের আলী ও শামিম হোসেনের ব্যাটে লড়াইয়ের পুঁজি গড়েছে টাইগাররা।
জায়েদ ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস হেরে আগে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৫ উইকেট হারিয়ে ১৩৯ রান সংগ্রহ করেছে বাংলাদেশ। দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৪২ রান করেন শামীম হোসেন। ৩৪ বলে ৩ চার ও ১ ছক্কায় এই রান করে অপরাজিত ছিলেন তিনি।
অপরপ্রান্তে ৪১ রান করে অপরাজিত ছিলেন জাকের আলী। ৩৪ বলে ২ চারের মারে ইনিংসটি সাজান এই ব্যাটার। এ ছাড়া লিটন করেন ২৬ বলে ২৮ রান। বাকিরা কেউই দুই অঙ্কের ঘর ছুঁতে পারেননি।
এদিন ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুতেই হোঁচট খায় বাংলাদেশ। ইনিংসের প্রথম ওভারেই ফিরে যান তানজিদ তামিম। ওভারের নুয়ান থুশারার প্রথম ৫বল মোকাবিলা করেও কোনো রান তুলতে পারেননি তিনি। এরপর ষষ্ঠ বলে বোল্ড হয়ে ডাক মেরে ফেরেন এই ওপেনার। এর পরের ওভারেই ফিরে যান আরেক ওপেনার পারভেজ হোসেন ইমন। তিনিও ৪ বল মোকাবিলা করে কোনো রান তুলতে পারেননি। দুশমন্ত চামিরাকে উইকেট দিয়ে ফেরেন এই মারকুটে ওপেনার।
প্রথম দুই ওভারে কোনো রান না তুলেই ২ উইকেট হারায় বাংলাদেশ। এরপর তাওহিদ হৃদয় এসেও বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি। দলীয় ১১ রানের মাথায় রানআউটের শিকার হয়ে ফেরেন এই ব্যাটার। তার ব্যাট থেকে আসে ৯ বলে ৮ রান।
এরপর ম্যাচের হাল ধরেন লিটন দাস। শেখ মেহেদিকে নিয়ে রানের চাকা সচল রাখার চেষ্টা করেন তিনি। তবে এই জুটিতে ২৭ রান তোলার পর ফিরে যান মেহেদি। এরপর লিটনও আর ইনিংস লম্বা করতে পারেননি। দলীয় ৫৩ রানে ফিরে যান টাইগার অধিনায়ক। পরবর্তীতে শামীম আর জাকের মিলে ৬১ বলে ৮৬ রানের অপরাজিত জুটি গড়েন। আর তাতেই লজ্জাজনক স্কোর এড়িয়ে লড়াইয়ের পুঁজি পায় টাইগাররা।
শ্রীলঙ্কার পক্ষে ৪ ওভারে ২৫ রান দিয়ে ২ উইকেট নেন ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গা। এ ছাড়া একটি করে উইকেট শিকার করেন নুয়ান থুশারা ও দুশমন্ত চামিরা।
ক্রিফোস্পোর্টস/১৩সেপ্টেম্বর২৫/বিটি
