
বিশ্বকাপ বাছাইপর্বে শীর্ষে থাকার পরও শেষ ম্যাচে হোঁচট খেল লিওনেল স্ক্যালোনির আর্জেন্টিনা। ইকুয়েডরের গুয়াইয়াকিলে অনুষ্ঠিত ম্যাচে স্বাগতিকদের কাছে ১-০ গোলে হেরে মাঠ ছাড়তে হয়েছে চ্যাম্পিয়ন দলটিকে।
এই ম্যাচে লিওনেল মেসি ছিলেন না। মেসির অনুপস্থিতি আর্জেন্টিনার আক্রমণাত্মক খেলায় স্পষ্ট প্রভাব ফেলেছে। গোলের সুযোগ তৈরি করতে গিয়ে দেখা গেছে দলের একগুঁয়ে কৌশল, যেখানে নির্ভরতা অনেকটাই মিডফিল্ড ও ফ্রন্টলাইন খেলোয়াড়দের ওপর। ভেতরের সংযোগে তেমন ধারাবাহিকতা ছিল না, যা ইকুয়েডরের শক্তিশালী রক্ষণকে সহজেই সামলাতে দিয়েছে।
৩৮ মিনিটে নিকোলাস ওতামেন্ডির লাল কার্ড ম্যাচের গতি বদলে দেয়। ইকুয়েডরের অধিনায়ক ভ্যালেন্সিয়াকে ফাউল করার কারণে আর্জেন্টিনা পিছিয়ে পড়ে। যদিও পরে ৫০ মিনিটে ময়েসেস কায়কাদোর লাল কার্ডের কারণে দুই দলই ১০ জনে নেমে আসে, কিন্তু তখনই ইতিমধ্যেই মানসিক ও কৌশলগত সুবিধা ইকুয়েডরের হাতে চলে গেছে।
প্রথমার্ধের শেষের দিকে ভিএআরের মাধ্যমে ইকুয়েডরের পেনাল্টি ঘোষণা করা হয়। আর্জেন্টাইন ডিফেন্ডার তালিয়াফিকোর কনুই প্রতিপক্ষের মুখে লেগে গোলের সুযোগ তৈরি করে। যদিও বিতর্ক ছিল, রেফারি পেনাল্টি দেন এবং ভ্যালেন্সিয়া জালে বল জড়ান। এই গোলই শেষ পর্যন্ত ম্যাচের একমাত্র গোল হয়ে রয়ে যায়।
দ্বিতীয়ার্ধে আর্জেন্টিনা আক্রমণে যেতে থাকে, তবে খেলোয়াড়দের মধ্যে যোগাযোগ ও সমন্বয়ের অভাব লক্ষ্য করা গেছে। কৌশলগত পরিবর্তনের চেষ্টা করলেও কোনো ফলাফল আসে না। সমর্থকরা মেসির অনুপস্থিতি এবং দলের একরূপ আক্রমণভঙ্গিতে কিছুটা হতাশ হয়েছেন।
শেষ ম্যাচে হারের মধ্যেও আর্জেন্টিনা বাছাইপর্ব শীর্ষে শেষ করেছে। তবে মেসির অনুপস্থিতি, লাল কার্ডের প্রভাব এবং বিতর্কিত রেফারি সিদ্ধান্ত দলকে যথেষ্ট চাপে ফেলেছে। এখন মূল প্রশ্ন হলো বিশ্বকাপে আর্জেন্টিনা কীভাবে এই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করবে, যেখানে বড় ম্যাচে চাপের মুহূর্তে স্থিতিশীলতা প্রমাণ করা খুব গুরুত্বপূর্ণ।
ক্রিফোস্পোর্টস/১০সেপ্টেম্বর২৫/এনজি
