
বুয়েনস আইরেসে ভেনেজুয়েলার বিপক্ষে বিশ্বকাপ বাছাইপর্বের ম্যাচটি সম্ভবত দেশের মাটিতে লিওনেল মেসির শেষ ম্যাচ। এছাড়া আকাশী নীলদের অভিজ্ঞ ডিফেন্ডার নিকোলাস ওটামেন্ডিও ঘোষণা দিয়েছেন, ঘরের মাঠে জাতীয় দলের হয়ে আর মাঠে নামা হবে না।
দলের দুই অভিজ্ঞ কাণ্ডারি সরে দাঁড়ানোয় নতুন অধিনায়ক নির্বাচন এখন সময়ের দাবি।
কে পরবেন আর্জেন্টিনার অধিনায়কত্বের আর্মব্যান্ড? প্রশ্নটা এখন ঘুরছে সমর্থক থেকে শুরু করে বিশ্লেষকদের মুখেও। নেতৃত্বে কাদের কথা মাথায় রেখেছেন কোচ স্কালোনি?
বিশ্লেষকদের মতে, বর্তমানে অধিনায়কত্বের লাইনআপে মেসির পর রয়েছেন ওটামেন্ডি, এরপর ক্রিশ্চিয়ান ‘কুটি’ রোমেরো।
জুনে চিলির বিপক্ষে বিশ্বকাপ বাছাইয়ের ম্যাচে অধিনায়কত্ব করে অভিষেকও হয়ে গেছে রোমেরোর। টটেনহ্যামের নিয়মিত অধিনায়ক, তরুণ বয়সেই নেতৃত্বগুণের প্রকাশ এবং গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে সাহসী উপস্থিতি- সব মিলিয়ে তিনি এগিয়ে আছেন নেতৃত্বের দৌড়ে। তবে রোমেরো একাই নন, আরও কয়েকজনকে ভাবনায় রেখেছেন কোচ লিওনেল স্কালোনি।
এমিলিয়ানো মার্টিনেজ
আলবি সেলেস্তেদের গোল পোস্টের নিচে ভরসার প্রতীক মার্টিনেজ। অ্যাস্টন ভিলার হয়ে মাঝে মধ্যেই অধিনায়কত্ব করেন। জাতীয় দলের বিশ্বকাপ জয়ের নায়কও তিনি। মাঠে তার উপস্থিতি ও প্রভাব অনেকটাই নেতার মতো। ফলে তিনিও শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে বিবেচনায় রয়েছেন।
লাউতারো মার্টিনেজ
দলে অভিজ্ঞদের মধ্যে আরও একজন লাউতারো মার্টিনে। জাতীয় দলের হয়ে ইতোমধ্যে ৭০টিরও বেশি ম্যাচ খেলেছেন। ইন্টার মিলানের নিয়মিত অধিনায়কও তিনি। গোলের সামনে নির্ভরযোগ্য, আর মাঠে থাকেন লড়াকু মেজাজে। নেতৃত্ব দেওয়ার মতো অভিজ্ঞতা ও মানসিকতা-দুটিই রয়েছে তার মাঝে।
নিকোলাস টালিয়াফিকো
স্কালোনি যুগের শুরুতে তিনিই ছিলেন আর্জেন্টিনার অধিনায়ক। ২০১৮ সালে গুয়াতেমালা, কলম্বিয়া ও মেক্সিকোর বিপক্ষে তিনি নেতৃত্ব দেন দলকে। দলের চারটি আন্তর্জাতিক শিরোপায় ছিলেন গুরুত্বপূর্ণ সদস্য। অধিনায়কত্বের পূর্ব অভিজ্ঞতা তাকে নতুন আলোচনায় দাঁড় করিয়েছে।
মেসি-ওটামেন্ডির বিদায়ের পর আর্জেন্টিনার নেতৃত্বের ভার যেই পান, তার কাঁধে থাকবে ইতিহাসের বড় চাপ।
ক্রিফোস্পোর্টস/৬সেপ্টেম্বর২৫/এসএ
