
দীর্ঘদিনের ইনজুরি কাটিয়ে ফিফার জুন উইন্ডোতে ব্রাজিল জাতীয় দলে ফেরার কথা ছিল নেইমার জুনিয়রের। কার্লো আনচেলত্তির অধীনে প্রাথমিক স্কোয়াডে জায়গাও পেয়েছিলেন তিনি। তবে চূড়ান্ত স্কোয়াড ঘোষণার আগে ইনজুরিতে পড়ায় জায়গা হয়নি মূল দলে। এবার সেপ্টেম্বর উইন্ডোতেও জাতীয় দলে ফেরা হচ্ছে না এই তারকার।
আসন্ন সেপ্টেম্বর উইন্ডোতে নেইমারের জাতীয় দলে ফেরাটা অনেকটা নিশ্চিত ছিল। তবে এবারও বাধা হয়ে দাঁড়ালো ইনজুরি। উরুতে চোট ধরা পড়ায় ব্রাজিলের বিশ্বকাপ বাছাইয়ের শেষ দুই ম্যাচের স্কোয়াডে জায়গা হয়নি এই তারকা ফরোয়ার্ডের।
গত একমাস ধরেই সন্তোসের হয় নিয়মিত খেলছেন নেইমার। তবে জাতীয় দলে ফেরার আগমুহূর্তেই ফের পড়েছেন দুর্ভাগ্যের চোটে। যে কারণে এবারও ফেরা হচ্ছে না তার। আনচেলত্তির স্কোয়াডে জায়গা না পাওয়া প্রসঙ্গে সরাসরি কিছু না বললেও এক ইঙ্গিতপূর্ণ বার্তা দিয়েছেন এই ফরোয়ার্ড।
নেইমার নিজের ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্টের স্টোরিতে জিমে চোট পুনর্বাসনের কিছু ছবি শেয়ার করে ক্যাপশনে লিখেছেন, ‘সাফল্য আসে লক্ষ্য পূরণের আকাঙ্ক্ষা, দৃঢ় সংকল্প এবং অবিচল অধ্যবসায়ের মাধ্যমে। আপনি যদি চূড়ান্ত লক্ষ্যে পৌঁছাতে না–ও পারেন, যদি বাধা খুঁজে বের করে তা অতিক্রম করার চেষ্টা করেন, তাহলে ভালো কিছু অর্জন করা সম্ভব।’
৩৩ বছর বয়সী এই ফরোয়ার্ড তার ক্যারিয়ারে ছোট-বড় অনেক চটে পড়েছেন। তবে প্রতিবারই চোট কাটিয়ে মাঠে ফিরেছেন তিনি। বার বার চোটে পড়েও মাঠে ফেরার জন্য তার লড়াইয়ের যে আকাঙ্ক্ষা—এই ক্যাপশনের মাধ্যমে হয়ত সেটাই বুঝিয়েছেন নেইমার। ভবিষ্যতেও কোনো বাধা আসলে হয়ত এভাবেই লড়াই চালিয়ে যাবেন এই তারকা ফরোয়ার্ড।
২০২৩ সালের অক্টোবরে বিশ্বকাপ বাছাইপর্বের ম্যাচে উরুগুয়ের বিপক্ষে ইনজুরিতে পড়েছিলেন নেইমার। একবছরের ইনজুরি কাটিয়ে আল হিলালের জার্সিতে ২০২৪ সালের অক্টোবরেই মাঠে ফিরেছিলেন তিনি। এরপর ফের ইনজুরিতে পড়ে কয়েক মাসের জন্য ছিটকে যান এই ফরোয়ার্ড।
আল হিলাল ছেড়ে সান্তোসে যোগ দেওয়ার পরও একাধিকবার চোটে পড়েন নেইমার। তবে প্রতিবারই চোট কাটিয়ে মাঠে ফিরেছেন এই তারকা। স্বদেশী এই ক্লাবটির হয়ে নিজের খেলা সবশেষ সাত ম্যাচেই পুরো সময় মাঠে ছিলেন তিনি। তবে শেষ মুহূর্তে উরুর চোটে পড়ে দীর্ঘ ২২ মাস পর জাতীয় দলে ফেরার স্বপ্ন পণ্ড হয়েছে এই তারকার।
ক্রিফোস্পোর্টস/২৭আগস্ট২৫/বিটি
