
গত ৪ মাসে পাঁচটি দ্বিপাক্ষিক সিরিজ খেলেছে বাংলাদেশ। টানা ব্যস্ত সূচির পর কিছুদিন বিশ্রামের সুযোগ পেয়েছিল জাতীয় দলের ক্রিকেটাররা। তবে আসন্ন নেদারল্যান্ডস সিরিজ ও এশিয়া কাপ দিয়ে ফের শুরু হচ্ছে টাইগারদের বাইশ গজের ব্যস্ততা।
চলতি মাসের শেষের দিকে মাঠে গড়াবে নেদারল্যান্ডস সিরিজ। এরপর সেপ্টেম্বরের দ্বিতীয় সপ্তাহে মাঠে গড়াবে এশিয়া কাপ। সেপ্টেম্বরের বাকিটা সময়জুড়ে চলবে এই মহাদেশীয় টুর্নামেন্ট। এশিয়া কাপের পর অক্টোবরে আইসিসির ভবিষ্যৎ সফর পরিকল্পনা (এফটিপি) অনুযায়ী বাংলাদেশ সফর করবে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। ঘরের মাটিতে তিন ম্যাচের ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি সিরিজে ক্যারিবীয়দের আতিথ্য দিবে শান্ত-লিটন-তাসকিনরা।
তবে ওয়েস্ট ইন্ডিজ সিরিজের আগেই আফগানিস্তানের বিপক্ষে সাদা বলের সিরিজ খেলবে বাংলাদেশ। তিনটি করে টি-টোয়েন্টি এবং ওয়ানডে ম্যাচের সিরিজ খেলবে দুই দল। মূলত এটি গত বছরের পিছিয়ে যাওয়া সিরিজের অংশ। ২০২৪ সালের জুলাইয়ে আফগানদের বিপক্ষে তিন ফরম্যাটের পূর্ণাঙ্গ সিরিজ খেলার কথা ছিল টাইগারদের। তবে ব্যস্ত সূচি কারণে পিছিয়ে নেওয়া হয় সিরিজটি, যা এ বছর এশিয়া কাপের পর অক্টোবরে অনুষ্ঠিত হবে।
বাংলাদেশ-আফগানিস্তান সিরিজটি অনুষ্ঠিত হবে আরব আমিরাতের মাটিতে। আর এশিয়া কাপও অনুষ্ঠিত হবে সেখানেই। এশিয়া কাপ শেষ হবে ২৮ সেপ্টেম্বর। এরপর অক্টোবরের শুরুতেই মাঠে গড়াবে এই সিরিজ।
তবে সিরিজের সূচি এখনো চূড়ান্ত হয়নি। বিসিবি সূত্রে জানা গেছে, এই সিরিজের ৩টি ওয়ানডে ও ৩টি টি-টোয়েন্টির জন্য ১৪ দিন সময় নির্ধারণ করা হয়েছে। সেক্ষেত্রে ৪ অক্টোবর থেকে শুরু হয়ে ১৭ অক্টোবরের মধ্যেই শেষ হতে পারে সিরিজটি।
এদিকে নেদারল্যান্ডস সিরিজ ও এশিয়া কাপ সামনে রেখে মিরপুরের প্রস্তুতি সারছে জাতীয় দলের ক্রিকেটাররা। আগামী ৩০ আগস্ট থেকে ৩ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত চলবে বাংলাদেশ-নেদারল্যান্ডস তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ। এই সিরিজের সবগুলো ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে সিলেট আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে। এরপর এশিয়া কাপের উদ্দেশ্যের আরবি আমিরাতে উড়াল দেবে টাইগাররা।
ক্রিফোস্পোর্টস/১৬আগস্ট২৫/বিটি
