
সহজ ম্যাচ কঠিন করে জিতল বাংলাদেশ। রানতাড়ায় নেমে দলীয় ৪৭ রানেই ৭ উইকেট হারায় পাকিস্তান। তবে ফাহিম আশরাফের লড়াকু ইনিংসে বিপত্তি পেরিয়ে জয়ের দিকে এগোতে থাকে সফরকারীরা। তার ব্যাটে ভর করে জয়ের স্বপ্ন দেখতে থাকে পাকিস্তান। কিন্তু শেষদিকে ফাহিম আশরাফকে ফিরিয়ে ৮ রানের জয় তুলে নেয় টাইগাররা। এতে এক ম্যাচ হাতে রেখেই ঐতিহাসিক সিরিজ জিতেছে লিটন দাসের দল। দুই বা তার অধিক ম্যাচের সিরিজে এটাই বাংলাদেশের প্রথম জয়।
মঙ্গলবার (২২ জুলাই) মিরপুরে সিরিজের দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে টস হেরে আগে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে সবকটি উইকেট হারিয়ে ১৩৩ রান সংগ্রহ করে বাংলাদেশ। জবাবে খেলতে নেমে ১৯.২ ওভারে ১২৫ রান করে অলআউট হয়ে যায় পাকিস্তান।
এদিন রানতাড়ায় নেমে শুরুতেই ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়ে পাকিস্তান। শরিফুল-তানজিমদের আগুন ঝরানো বোলিংয়ের সামনে দাঁড়াতেই পারেনি পাকিস্তানের ব্যাটাররা। দলীয় ১৫ রানেই ৫ উইকেট হারায় সফরকারীরা।ইনিংসের প্রথম ওভারেই রানআউটের শিকার হয়ে ফেরেন সাইম আইয়ুব (১)। পরের ওভারে শরিফুলের বলে এলবিডব্লিউর শিকার হয়ে গোল্ডেন ডাকে ফেরেন মোহাম্মদ হারিস। শরিফুল নিজের দ্বিতীয় ওভারে এসে ফের আঘাত হানেন। এবার তার শিকার তারকা ওপেনার ফখর জামান। কট বিহাইন্ড হয়ে ৮ বলে ৮ রান করে ফেরেন এই মারকুটে ব্যাটার।

পাকিস্তানের টপ অর্ডারকে ফেরান শরিফুল। ছবি- এএফপি
আরও পড়ুন:
» ১৫ রানেই পাকিস্তানের ৫ উইকেট তুলে নিল বাংলাদেশ
» জাকের-মেহেদির ব্যাটে লড়াইয়ের পুঁজি পেল বাংলাদেশ
ইনিংসের পঞ্চম ওভারে বোলিংয়ে আসেন তানজিম সাকিব। আর নিজের প্রথম ওভারেই জোড়া আঘাত হানেন এই পেসার। ওভারের তৃতীয় বলে হাসান নাওয়াজ (০) এবং পরের বলেই মোহাম্মদ নাওয়াজের (০) উইকেট তুলে নেন এই পেসার। পরবর্তীতে সালমান আগা (৯) ও খুশদিল শাহ (১৩) ফিরে গেলে ৪৭ রানেই ৭ উইকেট হারায় পাকিস্তান।
এরপর আব্বাস আফ্রিদিকে নিয়ে ম্যাচের হাল ধরেণ ফাহিম আশরাফ। অষ্টম উইকেট জুটিতে ২৭ বলে ৪১ রান যোগ করেন তারা। আব্বাসকে ফিরিয়ে এই জুটি ভাঙেন শরিফুল। ১৩ বলে ১৯ রান করে ফেরেন এই অলরাউন্ডার। তবে অপরপ্রান্ত আগলে একাই দলকে জয়ের পথে এগিয়ে নিচ্ছিলেন ফাহিম।

উইকেটের পেছনে দুর্দান্ত ছিলেন লিটন দাস। ছবি- এএফপি
ইনিংসের ১৯তম ওভারে রিশাদ তার শেষ বলে ফাহিমকে বোল্ড করে ফেরান। আরে সেখানেই ভেস্তে যায় পাকিস্তানের জয়ের আশা। ৩২ বলে ৪ চার ও ৪ ছক্কার মারে ১৯ রান করে ফেরেন ফাহিম। শেষ ওভারে পাকিস্তানের জয়ের জন্য প্রয়োজন ছিল ১৩ রান। মুস্তাফিজের প্রথম বলে চার মেরে দ্বিতীয় বল ছক্কা মারতে গিয়ে ডিপ মিডউইকেটে ধরা পড়েন আহমেদ ড্যানিয়েল। এতে ৮ রানের জয় নিশ্চিত হয় বাংলাদেশের।
বাংলাদেশের পক্ষে ৪ ওভারে ১৭ রান দিয়ে ৩ উইকেট তুলে নেন শরিফুল ইসলাম। এছাড়া মেহেদি ও তানজিম ২টি করে এবং মুস্তাফিজ ও রিশাদ একটি করে উইকেট নেন।
এই ম্যাচে সেরার খেলোয়াড়ের পুরস্কার জিতেছেন জাকের আলী। ২৮ রানে বাংলাদেশের চতুর্থ উইকেট পতনের পর তার ৪৮ বলে ৫৫ রানের ইনিংসে ভর করেই ১৪৪ রানের পুঁজি গড়তে সক্ষম হয় বাংলাদেশ। এছাড়া ২৫ বলে ৩৩ রানের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ইনিংস খেলেন শেখ মেহেদি।
ক্রিফোস্পোর্টস/২২জুলাই২৫/বিটি
