
শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজের প্রথম ম্যাচে বাজেভাবে হেরেছিল বাংলাদেশ। তবে দ্বিতীয় ম্যাচে দারুণ এক জয় নিয়ে ঘুরে দাঁড়ায় মেহেদি হাসান মিরাজের দল। প্রথম দুই ম্যাচ শেষে ১-১ সমতার পর সিরিজের তৃতীয় ও শেষ ম্যাচটি সিরিজ নির্ধারণী ম্যাচ। ফলে এটি একপ্রকার অলিখিত ফাইনাল।
আজ (মঙ্গলবার) গুরুত্বপূর্ণ এই ম্যাচে মুখোমুখি হয়েছে দুই দল। পাল্লেকেলে আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে শুরুতে টস জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয় শ্রীলঙ্কা। আগে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে ২৮৫ রান তুলেছে স্বাগতিকরা।
দলের পক্ষে সেঞ্চুরি করেন কুশল মেন্ডিস। ১১৪ বলে ১৮ চারের মারে ১২৪ রান করেন এই উইকেটরক্ষক ব্যাটার। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৫৮ রান এসেছে অধিনায়ক চারিথ আসালাঙ্কার ব্যাট থেকে। এছাড়া পাথুম নিশাঙ্কা ৩৫, কামিন্দু মেন্ডিস ১৬ এবং ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গা ১৮ রান করেন।
আরও পড়ুন:
» যে তালিকায় রাবাদা ও সিরাজদের ছাড়িয়ে সবার শীর্ষে তাসকিন
» আম্পায়ার বিসমিল্লাহ জান শিনওয়ারি আর নেই
বাংলাদেশের হয়ে ২টি করে উইকেট শিকার করেন তাসকিন আহমেদ ও মেহেদি হাসান মিরাজ। এছাড়া একটি করে উইকেট নিয়েছেন তানজিম হাসান সাকিব, তানভীর ইসলাম ও শামীম হোসেন।
এদিন ব্যাটিংয়ে নেমে দলীয় ১৩ রানেই নিশান মাদুশকাকে হারায় শ্রীলঙ্কা। তানজিম সাকিবের শিকার হয়ে মাত্র ১ রান করে ফেরেন এই ওপেনার। এরপর নিশাঙ্কা ও কুশলের ব্যাটে রানের চাকা এগিয়ে নেয় স্বাগতিকরা। ধীরে ধীরে বিপজ্জনক হয়ে ওঠা এই জুটি ভাঙেন তানভীর ইসলাম। দলীয় ৬৯ রানে নিশাঙ্কাকে ক্যাচের ফাঁদে ফেলে সাজঘরে ফেরান এই স্পিনার।
এরপর নতুন ব্যাটার হিসেবে ক্রিজে আসা কামিন্দু বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি। দলীয় ১০০ রানের মাথায় মেহেদি হাসান মিরাজের শিকার হয়ে ফেরেন এই ব্যাটার। শতরানেই তিন উইকেট হারানোর পর কিছুটা চাপে পড়ে স্বাগতিকরা। তবে কুশল মেন্ডিস ও আসালাঙ্কা মিলে এই চাপ সামাল দেন। চতুর্থ উইকেটে ১২৪ রানের জুটি গড়েন তারা।
এই জুটিতেই সেঞ্চুরি তুলে নেন কুশল মেন্ডিস এবং অর্ধশত রানের মাইলফলক স্পর্শ করেন আসালাঙ্কা। শেষ পর্যন্ত আসালাঙ্কাকে ফিরিয়ে এই জুটি ভাঙেন তাসকিন। শেষদিকে আরও কয়েকটি ছোট ছোট জুটি গড়ে ২৮৫ রানে পুঁজি গড়ে লঙ্কানরা।
ক্রিফোস্পোর্টস/৮জুলাই২৫/বিটি
