
গত বছর থেকেই গুঞ্জন ছিল, তিন ফরম্যাটেই জাতীয় দলের অধিনায়কত্ব ছাড়তে চান নাজমুল হোসেন শান্ত। তবে বোর্ডের অনুরোধে দায়িত্ব ছাড়েননি তিনি। কিন্তু চলতি বছরে মে মাসে তাকে টি-টোয়েন্টির নেতৃত্ব থেকে সরিয়ে লিটনের কাঁধে দায়িত্ব তুলে দেয় বিসিবি। যদিও টি-টোয়েন্টির দায়িত্ব নিজ ইচ্ছাতেই ছেড়েছিলেন তিনি। মাসখানেক বাদেই শান্তকে ওয়ানডের নেতৃত্ব থেকেও সরিয়ে নেয় বোর্ড। নতুন অধিনায়ক হিসেবে দায়িত্ব পান মেহেদি হাসান মিরাজ।
এবার শান্ত নিজে থেকেই টেস্টের অধিনায়ত্ব থেকে সরে দাড়িয়েছে। আজ শনিবার (২৮জুন) শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে দ্বিতীয় টেস্ট হারের পর সংবাদ সম্মেলনে এসে পদত্যাগের ঘোষণা দেন এই টপ অর্ডার ব্যাটার। শান্তর পদত্যাগের পর দেশের ক্রিকেটে আলোচনা-সমালোচনার ঝড় বইছে।
গুঞ্জন রয়েছে, শান্তকে ওয়ানডের নেতৃত্ব থেকে সরানোর আগে তার সঙ্গে কোনো আলোচনা করেনি বোর্ড। আর সে অভিমান থেকে পদত্যাগ করেছেন তিনি। যদিও শান্ত বলছেন ভিন্ন কথা। তিন সংস্করণে তিন অধিনায়ক পছন্দ নয় তার। আর এ কারণেই পদত্যাগ করেছেন তিনি।
এ প্রসঙ্গে শান্ত বলেন, ‘তিনজন অধিনায়ক দলের জন্য সমস্যা হতে পারে, এটা আমার ব্যক্তিগত মতামত। তাই দলের ভালোর জন্য আমি দায়িত্ব থেকে সরে এসেছি। যদি বোর্ড মনে করে তিনজন অধিনায়কই রাখবে, এটা তাদের সিদ্ধান্ত।’
আরও পড়ুন:
» কার নেতৃত্বে কত টেস্ট খেলেছে বাংলাদেশ, জয়ের শীর্ষে কে?
» শান্তর দায়িত্ব ছাড়ার পর টেস্ট দলের নেতৃত্বে আসছেন যিনি
তবে সিরিজের মাঝপথে অধিনায়ত্ব ছাড়া, সেটাও আবার বিদেশের মাটিতে— এ নিয়ে আক্ষেপ প্রকাশ করেছেন বিসিবি সভাপতি আমিনুল ইসলাম বুলবুল। শ্রীলঙ্কা সফরে এখনো বাকি ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি সিরিজ। শান্তর এমন সিদ্ধান্ত সিরিজের বাকি ম্যাচগুলোতে প্রভাব ফেলতে পারে বলে মনে করেন তিনি।
বুলবুল বলেন, ‘আমরা তো ওখানে তিন ফরম্যাটের সিরিজ খেলতে গেছি। টেস্ট সিরিজটা শেষ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে যদি সে পদত্যাগ না করত। এসব বিষয় দলের ওপর প্রভাব ফেলে। দেশে হলেও একটা কথা, বিদেশে…। তাছাড়া ও তো অন্যান্য সংস্করণে খেলবে। আমার মনে হয়, একজন অধিনায়ক হিসেবে সে আরেকটু চিন্তা করে সিদ্ধান্তটা নিতে পারতো। সবার আগে তো দল।’
যদিও এসব বিষয়ে এখন জলঘোলা করতে চান না বুলবুল। শ্রীলঙ্কা সফর শেষে ঘরের মাটিতে পাকিস্তানের বিপক্ষে তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলবে বাংলাদেশ। পাকিস্তান সিরিজের আগে ক্রিকেটারদের সঙ্গে বসবেন বুলবুল।
ক্রিফোস্পোর্টস/২৮জুন২৫/বিটি
