
খেলোয়াড়দের রাজনীতিতে জড়ানোর ঘটনা বিশ্বের বিভিন্ন দেশেই ঘটে থাকে। তবে যারা রাজনীতিতে যোগ দেন, তাদের মধ্যে বেশিরভাগই অবসরের পর রাজনীতিতে জড়িয়েছেন। একইভাবে বাংলাদেশের অনেক ক্রীড়াবিদও অবসরের পর রাজনীতিতে যোগ দিয়েছেন। তবে বাংলাদেশের দুই তারকা ক্রিকেটার মাশরাফি মুর্তজা ও সাকিব আল হাসান খেলোয়াড় থাকা অবস্থায় রাজনীতিতে জড়িয়ে বেশ সমালোচিত হয়েছেন।
সাকিব-মাশরাফির রাজনীতিতে জড়ানো নিয়ে দেশের সাবেক ক্রিকেটাররা বেশ সমালোচনা করেছেন। অনেকেই মনে করেন, কেউ রাজনীতিতে জড়াতে চাইলে অবসরের পর জড়ানো উচিত। কেউ কেউ এ নিয়ে বেশ ক্ষোভও ঝেড়েছেন। কেননা রাজনীতিতে জড়ানোর কারণেই এখন দেশের হয়ে খেলার সুযোগ পাচ্ছেন না সাকিব।
এবার ক্রিকেটারদের রাজনীতিতে জড়ানো নিয়ে কথা বলেছেন বাংলাদেশের সাবেক অধিনায়ক ও বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) নতুন সভাপতি আমিনুল ইসলাম বুলবুল। এই সাবেক তারকা মনে করেন, খেলার পাশাপাশি রাজনীতিতে জড়ানো অনৈতিক। কেই রাজনীতিতে যোগ দিতে চাইলে খেলা থেকে অবসর নিয়ে যোগ দেওয়া উচিত বলে মনে করেন এই সাবেক।
আরও পড়ুন:
» দুই পরিবর্তন এনে দ্বিতীয় টেস্টের দল ঘোষণা করল শ্রীলঙ্কা
» টেস্ট অধিনায়কত্ব থেকে শান্তর সরে দাঁড়ানোর গুঞ্জন
সম্প্রতি অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে বাংলাদেশের ক্রিকেট নিয়ে কথা বলেন বুলবুল। সেখানে জাতীয় দলের ক্রিকেটারদের রাজনীতিতে যোগদানের ব্যাপারে বুলবুল বলেন, ‘আমি ব্যক্তিগতভাবে খেলোয়াড়দের রাজনীতিতে জড়ানোকে সমর্থন করি না। জাতীয় দলের একজন খেলোয়াড় একটি দেশের প্রতিনিধিত্ব করে। আমার মনে হয়, খেলার পাশাপাশি রাজনীতিতে জড়ানো অনৈতিক।’
বোর্ডের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ ক্রিকেটারদের রাজনীতি থেকে দূরে থাকা উচিত বলে মনে করেন বুলবুল। তবে কেউ রাজনীতি করতে চাইলে ক্রিকেট ছেড়ে তারপর যোগ দিলে বিতর্ক হবে না বলে মনে করেন তিনি, ‘যারা বিসিবির সঙ্গে চুক্তিভুক্ত আছেন, তাদের রাজনীতি থেকে বিরত থাকা উচিত। রাজনীতিতে যোগ দিলে একজন খেলোয়াড়ের মনোযোগ ও অঙ্গীকার অন্যদিকে চলে যায়। যদি কেউ রাজনীতি করতে চায়, খেলা ছেড়ে দিক। তাহলে আর কোনো বিতর্কও থাকবে না। ’
প্রসঙ্গত, আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর আর দেশে ফিরতে পারেননি সাকিব। দেশের বাইরে দুটো সিরিজে জাতীয় দলের হয়ে খেলার সুযোগ পেয়েছিলেন তিনি। তবে গত বছরের ভারত সিরিজের পর থেকেই জাতীয় দলের বাইরে আছেন এই সাবেক টাইগার দলপতি।
ক্রিফোস্পোর্টস/২৩জুন২৫/বিটি
