
লর্ডসের ঐতিহাসিক মাঠে দক্ষিণ আফ্রিকার পেসার কাগিসো রাবাদা গড়ছেন ইতিহাস, জিতছেন ক্রিকেটপ্রেমীদের হৃদয়। বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ (ডব্লিউটিসি) ২০২৫ ফাইনালে প্রথমবারেই অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে দক্ষিণ আফ্রিকার দুর্দান্ত জয়ে অনবদ্য ভূমিকা পালনের পর রাবাদা জানিয়েছেন, “এই মুহূর্ত আমি কখনো ভুলব না।”
দলের এই স্মরণীয় জয়ে প্রথম ইনিংসে ৫ উইকেট এবং দ্বিতীয় ইনিংসে ৪ উইকেটসহ মোট ৯টি শিকার করেন রাবাদা। এর মাধ্যমে তিনি দক্ষিণ আফ্রিকার টেস্ট ইতিহাসে চতুর্থ সর্বোচ্চ উইকেট শিকারি হিসেবে কিংবদন্তি অ্যালান ডোনাল্ডকে পেছনে ফেলেন। ৩৮.৯ স্ট্রাইক রেট নিয়ে তিনি হয়ে উঠেছেন ১৫০ উইকেটের বেশি নেওয়া বোলারদের মধ্যে সবার সেরা স্ট্রাইক রেটধারী।
তবে সাফল্যের এই মুহূর্তেও নিজেকে তারকা ভাবতে নারাজ রাবাদা। “আমি নিজেকে কোনো তারকা হিসেবে দেখি না,” বলেন আইসিসিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে। “আমি শুধু একজন পরিশ্রমী ক্রিকেটার, যে দলের জন্য সর্বোচ্চ দেয়ার চেষ্টা করে। দেশকে প্রতিনিধিত্ব করতে পারা আমার জন্য গর্বের বিষয়।”
আরও পড়ুন
» টেস্ট স্ট্যাটাসের ২৫ বছর পূর্তি উদযাপনে বিসিবির ক্রিকেট কার্নিভাল
» এডাম গিলক্রিস্টের ১৭ বছর আগের রেকর্ড ভাঙলেন মুশফিক
প্রথম ইনিংসে উসমান খাজা ও ক্যামেরন গ্রিনকে এক ওভারে ফিরিয়ে দিয়ে ম্যাচে নিয়ন্ত্রণ নেয় দক্ষিণ আফ্রিকা। ৫১ রানে ৫ উইকেট নেওয়ার পারফরম্যান্সে রাবাদা ইতিহাসের দ্বিতীয় বোলার হিসেবে লর্ডসের দুই ড্রেসিংরুমেই (হোম ও অ্যাওয়ে) সম্মাননা লাভ করেন।
দ্বিতীয় ইনিংসেও ছিল তার প্রভাব। ৫৯ রানে ৪ উইকেট, তার মধ্যে আবারও একই ওভারে খাজা ও গ্রিনের উইকেট। এই স্পেলেই অস্ট্রেলিয়াকে ২০৭ রানে অলআউট করে জয়ের পথ তৈরি করেন তিনি।অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে রাবাদার রেকর্ডও অসাধারণ। ২১.৩৯ গড় নিয়েছেন ৫৮ উইকেট।
এই জয়ের মাধ্যমে দক্ষিণ আফ্রিকা ২৭ বছর পর আইসিসির কোনো শিরোপা জিতেছে। আর অস্ট্রেলিয়ার মতো অভিজ্ঞ দলকে হারানোর আনন্দ ছিল রাবাদার জন্য আরও বিশেষ কিছু।
অজিদের হারানোর আনন্দে রাবাদা জানান, “তাদের হারানো মানে আত্মবিশ্বাসের বিশাল ধাক্কা। নিজেদের আত্মবিশ্বাসের ক্ষেত্রে বলতে পারবো আমরাও পারি।”
দলের তরুণ ক্রিকেটারদের উদ্দেশ্যে বলেন, “তরুণরা এই দলে মাত্র এক বছর আগে একসাথে খেলতে শুরু করেছিল। আর সেই দলই আজ বিশ্বচ্যাম্পিয়ন। এটা শুধু আমার নয়, আমাদের দলের সবার সাফল্য। এই জয়, এই মুহূর্ত; আমরা কেউই ভুলব না।”
ক্রিফোস্পোর্টস/১৮জুন২৫/আইএস
