
ফুটবল মাঠে লাল কার্ড নতুন কিছু নয়। খেলোয়াড়দের অপরাধমূলক আচরণ ঠেকাতে রেফারির এটাই সবচেয়ে বড় হাতিয়ার। সচরাচর একটি লাল কার্ডই না ফুটবল প্রাঙ্গণে নানা আলোচনা-সমালোচনার জন্ম দেয়।
একটির জায়গায় দুই বা তিনটি হলেই উত্তেজনাময় পরিস্থিতি তৈরি হয়। কিন্তু একবার ভাবেন, এক ম্যাচে ৩৬টা লাল কার্ড! এটা কি আদৌ সম্ভব?
মাঠে দুই দলের খেলোয়াড় থাকে ২২ জন। কিন্তু এক ম্যাচে দেওয়া হয়েছে ৩৬ লাল কার্ড। সকলের জিজ্ঞাসা কীভাবে সম্ভব?
আরও পড়ুন
» শান্তর কাছে ডাবল সেঞ্চুরির প্রত্যাশা মুশফিকের
» শান্তর কাছে ডাবল সেঞ্চুরির প্রত্যাশা মুশফিকের
এই অসম্ভবই সম্ভব হয়েছে আর্জেন্টিার পঞ্চম বিভাগের একটি স্থানীয় ম্যাচে। ২০১১ সালে অনুষ্ঠিত ওই ম্যাচে মুখোমুখি হয় ক্লেইপোল এবং ভিক্টোরিয়ানো অ্যারেনাস। ম্যাচটি শুরু হয়েছিল মোটামুটি শান্ত পরিবেশে। প্রথমার্ধে দুই দলের একজন করে খেলোয়াড় লাল কার্ড দেখে মাঠ ছাড়ে। কিন্তু বিরতির পরই উত্তেজনা চরমে পৌঁছায়।
কথা কাটাকাটি, ধাক্কাধাক্কি ও লাথি-ঘুষি ধীরে ধীরে বড় আকার ধারণ করে এবং শেষ পর্যন্ত এক বিশাল মারামারিতে রূপ নেয়। কেবল মাঠের খেলোয়াড়রাই নয়, এই সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন কোচ, বদলি খেলোয়াড় এবং কিছু দর্শকও।
এই পরিস্থিতিতে দায়িত্বে থাকা রেফারি ডেমিয়ান রুবিনো দুই দলের সব খেলোয়াড় ২২ জন, বদলি খেলোয়াড়, কোচ, সহকারী কোচসহ আরও ১৪ জনকে লাল কার্ড দেখান।
ম্যাচ শেষে ভিক্টোরিয়ানো অ্যারেনাসের কোচ দোমিনগো সগাঙ্গা জানিয়েছিলেন, “ওরা আমাকে মারতে চেয়েছিল!”
অন্যদিকে, ক্লেইপোলের কোচ সের্জিও মিচিয়েলি বলেছেন, “রেফারি অতিরিক্ত প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছেন। অনেকেই আসলে পরিস্থিতি শান্ত করতে চেয়েছিল।”
পরবর্তীতে এই ম্যাচটি সর্বোচ্চ সংখ্যক লাল কার্ড দেখানোর রেকর্ড হিসেবে গিনিজ বুকে স্থান করে নিয়েছে।
ক্রিফোস্পোর্টস/১৭জুন২৫/আইএস
