
দেশজুড়ে ঈদের আমেজ। ছুটির ফাঁকে অনেকেই ছুটেছেন গ্রামে কিংবা প্রিয়জনের সান্নিধ্যে। তবে জাতীয় ফুটবল দলের খেলোয়াড়দের জন্য নেই সেই অবকাশ। ঈদের তিন দিন পর, ১০ জুন ঢাকার জাতীয় স্টেডিয়ামে এএফসি এশিয়ান কাপ বাছাইপর্বের গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ ও সিঙ্গাপুর। এই ম্যাচে জয় পেতে চান জাতীয় দলের স্প্যানিশ কোচ হাভিয়ের কাবরেরা।
তার ভাষায়, এটি হতে পারে দেশবাসীর জন্য ‘ঈদের উপহার’।
শুক্রবার বিকেলে জাতীয় স্টেডিয়ামে অনুশীলনের আগে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে কাবরেরা বলেন, ‘অবশ্যই, আমরা সিঙ্গাপুরকে হারিয়ে দেশবাসীকে ঈদের উপহার দিতে চাই।’
আরও পড়ুন
» সিঙ্গাপুরের সঙ্গে বাংলাদেশের ‘মাথাব্যথার’ কারণ হয়ে উঠতে পারেন তিনি
» ফ্রেঞ্চ ওপেনে ফাইনালসহ আজকের খেলা (৭ জুন ২৫)
কাবরেরার কণ্ঠে ছিল আত্মবিশ্বাস, সঙ্গে বাস্তবতাবোধও।
ভুটানের বিপক্ষে সর্বশেষ ম্যাচে ষষ্ঠ মিনিটেই জামাল ভূঁইয়ার কর্নার থেকে হামজা চৌধুরীর হেডে এগিয়ে যায় বাংলাদেশ। সেই গোল নিয়ে সন্তুষ্ট কোচ, বিশেষ করে সেট পিস থেকে পাওয়া সাফল্যে।
তিনি বলেন, ভুটানের বিপক্ষে আমরা সেট পিস থেকে গোল করেছি। এই দিকটা আগের তুলনায় অনেক উন্নত হয়েছে। গত তিন ম্যাচে আমরা সেট পিস থেকে কোনো গোল খাইনি। এটা ইতিবাচক দিক। আর শেষ ম্যাচে তো ক্লিন শিটও রেখেছি।
জামাল ভূঁইয়ার আক্রমণভাগে সরব ভূমিকা নজর কেড়েছে অনেকের। তবে কাবরেরার কাছে এটা নতুন কিছু নয়। তিনি বলেন, তিন বছর ধরে জামাল এমনই খেলছে।
ভুটান ম্যাচে একাধিক সুযোগ সৃষ্টি করলেও বাংলাদেশ পায় মাত্র দুটি গোল। ফিনিশিং নিয়ে কিছুটা আক্ষেপ থাকলেও কাবরেরা তাতে খুব একটা উদ্বিগ্ন নন। তিনি বলেন, আমরা দুটি গোল করেছি, আমি খুশি। অবশ্যই ফিনিশিং উন্নত করতে হবে, তবে এটাও ফুটবলেরই অংশ।
কোচ জানেন, ভুটান আর সিঙ্গাপুর এক দল নয়। সিঙ্গাপুর সর্বশেষ মালদ্বীপকে ৩–১ গোলে হারিয়েছে। দলের ফরোয়ার্ড ইখসান ফান্দি ফিরেই করেছেন দুটি গোল। এমন পারফরম্যান্স মাথায় রেখেই সিঙ্গাপুরের বিপক্ষে ম্যাচের পরিকল্পনা সাজাচ্ছেন জাতীয় দলের প্রধান কোচ হাভিয়ের কাবরেরা।
ক্রিফোস্পোর্টস/০৭জুন২৫/এসএ
