
বার্সেলোনার কথা বললে আজকাল সবার মাথায় আসে লামিন ইয়ামাল, রবার্ট লেভানডভস্কি ও রাফিনিয়ার ত্রয়ী জোটের কথা। তবে এবার এই তিনেক বাইরে গিয়ে বার্সা মিডফিল্ডার পেদ্রিকে প্রশংসায় ভাসালেন রিয়াল মাদ্রিদ কিংবদন্তি টনি ক্রুস।
বিশ্বসেরা মিডফিল্ডারের প্রশ্নে টনি সবার আগে রাখলেন পেদ্রির নাম। দলের সফলতায় গোল স্কোরার ত্রয়ী জোট খুব একটা কার্যকর হতো না পেদ্রির মতো ফুটবলার না থাকলে, এমনটাই মনে করেন সাবেক রিয়াল তারকা।
নিজের পডকাস্ট চ্যানেলে ক্রুস বলেন, ‘তারা (ইয়ামাল, লেভানডভস্কি ও রাফিনিয়া) হয়তো ম্যাচের ফল নির্ধারণ করে দেয়, কিন্তু সেটা সম্ভব হয় পেদ্রির মতো খেলোয়াড়দের জন্যই। এই মুহূর্তে ওর (মিডফিল্ড) পজিশনে পেদ্রি-ই বিশ্বের সেরা ফুটবলার।’
চ্যাম্পিয়ন্স লিগ সেমিফাইনালের মতো গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচের আগে পেদ্রির ফর্ম বার্সেলোনার জন্য বড় স্বস্তির বলে মনে করেন ক্রুস। তার মতে, ‘চ্যাম্পিয়ন্স লিগ হোক বা লা লিগা— প্রতিটি ম্যাচেই সে প্রতিপক্ষের চেয়ে আলাদা। পেদ্রি মাঠে না থাকলে দল যে কতটা ভোগে, সেটা দেখলেই বোঝা যায়।’
আরও পড়ুন:
» কানাডিয়ান প্রিমিয়ার লিগে সপ্তাহসেরা একাদশে বাংলাদেশি সামিত
» প্লে অফে কারা যাবে— রিশাদের লাহোর নাকি নাহিদের পেশোয়ার?
ইয়ামাল-লেভানডভস্কি-রাফিনিয়া এই তিন ফুটবলার মিলে এই মৌসুমে বার্সার হয়ে করেছেন ৮৬ গোল। তবুও টনি ক্রুসের চোখে, এই গোলদাতাদের চেয়েও বেশি গুরুত্বপূর্ণ পেদ্রি। কারণ হিসেবে তিনি বলেন, ‘সে গোল-অ্যাসিস্টের বাইরেও প্রতিটি ক্ষেত্রে দলের জন্য সমাধান নিয়ে আসে।’
নিজেদের মাঠে পেদ্রির ভয়কর পারফরম্যান্সের স্মৃতিচারণ করে টনি ক্রুস বলেন, ‘আমার এখনো মনে আছে, কিভাবে পেদ্রি আমাদের মাঠেই ধ্বংস করেছিল। মনে হয়েছিল, ওকে আটকানো যাবে, কারণ ওর গতি ততটা ভয়ানক নয়। কিন্তু ড্রিবলিং এত নিখুঁত যে আমরা ফাউল করেও আটকাতে পারিনি।’
এবারের পুরো মৌসুম জুড়েই দুর্দান্ত ছন্দে আছেন ২২ বছর বয়সী এই স্প্যানিশ মিডফিল্ডার। মাঝে কিছুদিন চোটে ভুগলেও ঘুরে দাঁড়িয়েছেন দারুন ভাবে। চলতি মৌসমে ৫৪ ম্যাচ খেলে করেছেন ৬ গোল, আর সতীর্থদের দিয়ে করিয়েছেন আরও ৭ গোল।
ক্রিফোস্পোর্টস/৬মে২৫/এফএএস
